তৈরি পোশাকসহ সকল
রপ্তানিখাতের উৎসে কর শূন্য দশমিক
৬ শতাংশ
এবং উচ্চাশিক্ষায়
১০ শতাংশের
বদলে ৭.৫ শতাংশ
ভ্যাট আরোপের
সুপারিশ করছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার দুপুরে জাতীয় সংসদের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এ সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথা অনুযায়ী, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার সমাপনী বক্তব্যে এসব প্রস্তাব গ্রহণ করবেন এবং পরে অর্থবিল পাস হবে।
বিদায়ী বাজেটে তৈরি পোশাক রপ্তানি মূল্যের উপর শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হত। ৪ জুন অর্থমন্ত্রী যে বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন তাতে রপ্তানি আয়ের ওপর ১ শতাংশ উৎসে কর কাটার কথা বলা হয়।
বাজেটের ওপর আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তা কমিয়ে সব ক্ষেত্রে শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন।
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর এই সুযোগ দেন, আগামীতে ভালো করলে আপনি বাড়াবেন।
এতোদিন ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য থাকলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর ভ্যাট ছিল না। এবার বাজেটে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
বিএনপির পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাও উচ্চাশিক্ষায় কর আরোপের এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তা প্রত্যাহার করতে না বললেও ১০ শতাংশের বদলে ৭.৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) আরোপের প্রস্তাব করেন।
এছাড়া সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিত করতে এ খাতে গবেষণা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেন সরকারপ্রধান।
তিনি ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে সব ধরনের আমদানি শুল্কসহ সব শুল্ক-কর প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। হেপাটাইটিস সি ভাইরাসের প্রতিষেধক, ভেষজ ও হারবাল ওষুধের কাঁচামালে ছাড় দেওয়ার আহ্বান জানান।
পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প দেশে আমিষের চাহিদা মেটাতে অবদান রাখছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রী পোল্ট্রি শিল্পের আয় থেকে কর কাটার প্রস্তাব করেছেন। আমি অনুরোধ করব ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়কে করমুক্ত করা হোক। এরপর ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে ১০ শতাংশ করা হোক।
মৎস্য শিল্পের আয়কেও একইভাবে বিবেচনা করার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী তার প্রস্তাবিত বাজেটে পোল্ট্রি শিল্পের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় থেকে ৩ শতাংশ, ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা ১০ শতাংশ এবং ২০ লাখ টাকার ওপরের আয় থেকে ১৫ শতাংশ হারে কর নেয়ার প্রস্তাব করেছিলেন। একই ধরনের প্রস্তাব ছিল মৎস্য খাতেও।
প্রধানমন্ত্রী বই আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার, নতুন ব্যাংকের ক্ষেত্রে করপোরেট কর কমিয়ে আনার সুপারিশ করেন।