তিউনিসিয়ার সমুদ্র সৈকতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩৯ জনের মধ্যে যে ১৫ ব্রিটিশ নাগরিক ছিল তাদের ১২ জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি মেইল। ব্রিটিশ সরকার শনিবারই তাদের ১৫ নাগরিকের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।
নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের তিন সদস্য রয়েছেন। রোববার এক রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। ২০০৫ সালে লন্ডনে বোমা হামলার পর এটি ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি। ২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনে চালানো ওই সন্ত্রাসী হামলায় ৫২ জন নিহত হওয়ার পর শুক্রবারের হামলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক বৃটিশ নাগরিক নিহত হলো।
তিউনিশিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহতরা সমূদ্র সৈকতে যাওয়ার সময় নিজেদের পরিচয়পত্র সঙ্গে নেননি বলে তাদের লাশ শনাক্ত করতে সময় লাগছে। তিউনিশিয়ার একটি পর্যটন সংস্থা জানিয়েছে, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কাটাতে বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ২০ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক অবস্থান করছে।
এদিকে, জার্মানি নিশ্চিত করেছে, তিউনিসিয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় তাদের এক নাগরিক নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার সুস সমুদ্র সৈকতে বন্দুকধারীর গুলিতে আয়ারল্যান্ড ও বেলজিয়ামেরও বেশ কয়েকজন নাগরিক হতাহত হয়েছে।
তিউনিশিয়ায় হামলার দায় কেউ স্বীকার না করলেও বাকি তিন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাক ও সিরিয়া ভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
সিরিয়ার কুর্দী অধ্যুষিত শহর কোবানিতে হামলা চালিয়ে ১৬৪ জন নিরীহ নাগরিককে খুন করেছে আইএস জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে অসংখ্য মহিলা ও শিশু রয়েছে।
শুক্রবার সকালে তিউনিশিয়ায় ভূমধ্যসাগর উপকূলবর্তী বিখ্যাত সুসে সৈকতে দুটি হোটেলে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। বন্দুকবাজের তাণ্ডবে নিহতের সংখ্যা ৩৯ জন।
সৈকতে ছাতার আড়ালে লুকিয়ে রাখা বন্দুক দিয়ে ভিড়ে ঠাসা ওই সৈকতে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে এক বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়।
কুয়েতের মসজিদে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কমপক্ষে ২৭ জনের। হামলার দায় স্বীকার করে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট।
অন্যদিকে, শুক্রবার পূর্ব ফ্রান্সের লিঁয় শহরের কাছে একটি মার্কিন রাসায়নিক কারখানায় অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয় একজনের।
এই পরিস্থিতিতে স্পেন, ব্রিটেনসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।