ফেনী
সদর উপজেলার লালপুলে ছয় লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ঢাকা এসবির
টেকনিক্যাল সেকশনের এএসআই মো. মাহফুজুর রহমানের আরেক সহযোগী গিয়াস উদ্দিন
ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার
বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকীর
আদালতে গ্রেফতার গিয়াসউদ্দিন ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দি দেন। এ সময় তিনি মো.
মাহফুজুর রহমানের সাথে ইয়াবা পাচার ও ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত বলে স্বীকার
করেন।
এর
আগে মাহফুজ ও তার গাড়ি চালক জাবেদ আলীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ বুধবার
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার গ্রামের বাড়ি থেকে গিয়াস উদ্দিনকে গ্রেফতার
করে। ওই দিনই তাকে আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের
আবেদন করা হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য,
গত শনিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লালপুল এলাকায়
র্যাব সদস্যরা একটি প্রাইভেট কারসহ এএসআই মো. মাহফুজুর রহমান (৩৫) ও তার
গাড়ি চালক মো. জাবেদ আলীকে (২৯) আটক করেন। পরে তাদের গাড়ি তল্লাশি করে
প্রায় ২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ছয় লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা, ইয়াবা বিক্রির
সাত লাখ টাকা, চারটি মোবাইল ফোনসেট, বিভিন্ন ব্যাংকের আটটি ক্রেডিট কার্ড,
এবং তিনটি নোট বইতে ২৮ কোটি টাকার ইয়াবা বিক্রির লেনদেনের হিসাবসহ বেশ
কয়েকজনের নাম পাওয়া যায়।
এ
ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে আটক মাহফুজুর রহমানসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও তার
গাড়ি চালক মো. জাবেদ আলীসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। অপর দুই
পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন কক্সবাজার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মো. বেলাল ও
চট্টগ্রাম পুলিশের কুমিরা হাইওয়ে ইনচার্জ (আইসি) মো. আশিক।