গ্রীসকে জরুরি অর্থসাহায্য দেয়া বন্ধ করতে পারে ইসিবি

S M Ashraful Azom
বিবিসি জানতে পেরেছে যে, গ্রীসের বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধের জন্য সেদেশের ব্যাংকগুলোকে জরুরি অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইসিবির সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র থেকে বিবিসি এ কথা জানতে পেরেছে।


গ্রীসের ব্যাংকগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেয়া চালিয়ে যাওয়া হবে কিনা এ প্রশ্নে ইউরোপের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) কর্তৃপক্ষ আজ এক আলোচনায় বসার কথা রয়েছে।


গ্রীসের ঋণ সংকট কাটাতে প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস আন্তর্জাতিক অর্থ সহায়তার প্রস্তাবের ওপর যে গণভোট করার কথা ঘোষণা করেছেন - তা দেশটির পার্লামেন্টে এক ভোটাভুটিতে অনুমোদিত হবার পরই ইসিবি এ বৈঠকে ডাকে।


আগামী দু’দিনের মধ্যেই গ্রীসকে আইএমএফের ১৭০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে। মনে করা হচ্ছে, গ্রীস এই অর্থ দিতে না পারলে তারা ঋণখেলাপী হয়ে যাবে এবং তাদের ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যেতে হবে।


সমস্যা হচ্ছে, এই ঋণ পরিশোধ করার জন্য গ্রীস ইউরোপের অর্থ সাহায্য পেতে পারে- কিন্তু তার শর্ত হিসেবে তাকে সরকারি ব্যয়ে ব্যাপক কাটছাঁট করতে হবে যাতে গ্রীসের সরকার আদৌ রাজী নয়।


গ্রীসের অর্থমন্ত্রী ইয়ান্নিস ভারুফাকিস বলেছেন, ইসিবি যদি গ্রীসের ব্যাংকগুলোকে সহায়তা দেয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে তা হবে ইউরোপের অর্থনৈতিক সংযুক্তির নীতির লংঘন, এবং এর অর্থ হবে ইউরোপ ব্যর্থ হয়েছে।


গ্রীক প্রধানমন্ত্রী আলেক্সিস সিপ্রাস ইতিমধ্যেই বলেছেন, অর্থসাহায্য দেবার জন্য ঋণদাতারা যে আলটিমেটাম দিয়েছে তা ‘অপমানজনক’, এবং তিনি গণভোটে এর বিরুদ্ধে ‘না’ রায় দেবার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


এরপর ইউরোজোনের দেশগুলো আর্থিক সহায়তার মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলছে, গ্রীক একতরফাভাবে আলোচনা ভেঙে দিয়েছে।


অস্ট্রিয়ার অর্থমন্ত্রী হ্যান্স ইয়র্ড় শেলিং বলছেন, ইউরোজোন থেকে গ্রীসের বেরিয়ে যাওয়া এক প্রায় অবধারিত হয়ে পড়েছে।


ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা বলছেন, গ্রীসের উচিত হবে সোমবার দিনটিকে ব্যাংক হলিডে বা ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা - যাতে অর্থখাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।


সংকটের আশংকা ঘনীভূত হতে থাকায় গ্রীসের লোকজন ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিতে ক্যাশ মেশিনগুলোর সামনে ভিড় জমাচ্ছে।সূত্র:বিবিসি বাংলা

ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top