ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে সত্যেন্দ্রনাথ বসু স্মৃতি জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আজ রবিবার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই জাদুঘর উদ্বোধন করেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মোহতাশাম হোসেন, প্রাক্তন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রাক্তন অধ্যাপক ড. অজয় রায়, প্রাক্তন অধ্যাপক ড. মো. আমিনুর রশিদ, অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক শামীমা চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ১৯২০ শতকের শুরুতে ‘কোয়ান্টাম মেকানিকস’ বিষয়ক গবেষণা কর্মের জন্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু (এস এন বোস) বিশ্বব্যাপী ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অধ্যাপক এস এন বোসের নামানুসারেই বিশ্বের অর্ধেক বস্তুকণার নাম ‘বোসন’ রাখা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এস এন বোস জাদুঘর তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ভারতীয় বাঙালি পদার্থবিজ্ঞানী এস এন বোস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। তাঁর ব্যবহৃত ইজিচেয়ার, বুক-সেলফ, রিভলভিং চেয়ার, ঘড়ি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদত্যাগপত্র, বোস-আইনস্টাইনের মধ্যে বিনিময়কৃত চিঠিপত্রসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক দ্রব্যাদি এই জাদুঘরে স্থান পেয়েছে।
সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৮৯৪ সালের ১ জানুয়ারি কোলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে প্রথমে সেখানে রিডার হিসেবে যোগ দেন। পরে তিনি সেখানে অধ্যাপনা শুরু করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনাকালেই এস এস বোস ১৯২৪ সালে প্লাঙ্কের কোয়ান্টাম তেজস্ক্রিয়তা নীতি ক্ল্যাসিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের সাহায্য ছাড়াই প্রতিপাদন করে একটি গবেষণা প্রবন্ধ রচনা করেন এবং সদৃশ কনার সাহায্যে দশম সংখ্যা গণনার উপায় উদ্ভাবন করেন। যা তাকে বিশ্বখ্যাতি এনে দেয়। তিনিই প্রথম বিজ্ঞানী যিনি বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চ্চাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেন এবং এর পৃষ্ঠপোষকতা করেন। ১৯৭৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি এই অন্যন্য প্রতিভাধর পদার্থবিদ মৃত্যুবরণ করেন।