গত ৫ দিন ধরে জেলার ৬ উপজেলার ২৪ ইউনিয়নের
নদ-নদী তীরবর্তী দেড়শতাধিক গ্রাম, চর ও দ্বীপচর গুলো তলিয়ে আছে। এসব
এলাকার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী জীবন-যাপন করছে। বন্যার্তদের মাঝে
দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। পাশাপাশি গৃহপালিত
পশুপাখির খাদ্য সংকট নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসীরা। গ্রামীণ কাঁচা সড়ক
তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এ অবস্থায় নৌকা ও কলাগাছের
ভেলাই একমাত্র ভরসা।

চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের আনছার আলী জানান, পানির জন্যে কোন দিকে বেড়াইতে পারি না। নৌকা নাই, হাটবাজার যাবার পাই না। খাওয়া-দাওয়ার খুব সমস্যায় আছি। গত ৫ দিন ধরে কাজ নাই। ঘরত খাবার নাই। গরু-ছাগল নিয়া খুব সমস্যায় আছি। কি হবে আল্লাই জানে।

চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চরের আনছার আলী জানান, পানির জন্যে কোন দিকে বেড়াইতে পারি না। নৌকা নাই, হাটবাজার যাবার পাই না। খাওয়া-দাওয়ার খুব সমস্যায় আছি। গত ৫ দিন ধরে কাজ নাই। ঘরত খাবার নাই। গরু-ছাগল নিয়া খুব সমস্যায় আছি। কি হবে আল্লাই জানে।

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি ও অন্যান্য নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেলেও
কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে দুধকুমর
নদীর প্রবল শ্রোতে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট ব্রীজের পাইকের ছড়া এলাকায়
সংযোগ সড়কের ধ্বস দেখা দেয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চরযাত্রাপুর
গ্রামের আমেনা বেগম জানান, ৫ দিন ধরে ছেলে মেয়ে নিয়ে পানির মধ্যে আছি।
নলকুপে পানি উঠছে। বাইরে থেকে পানি আনি খাওয়া লাগে। নৌকা নাই, খাবার নাই।
খুব কষ্টে আছি।
এদিকে বন্যা কবলিত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ৫০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হলেও তা এখনও বানভাসীদের মাঝে বিতরন শুরু হয়নি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান, জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দ্রত বিতরন করা হবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবিএম আজাদ জানান, জেলায় বন্যা কবলিতদের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দ্রত বিতরন করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী
প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে
১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে
ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী
পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৫
সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।