পূর্বাচল থেকে নারায়ণগঞ্জের
ঝিলমিল আবাসিক
এলাকা পর্যন্ত
প্রায় ৩৫
কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহ
প্রকাশ করেছে
চীনা প্রতিষ্ঠান
চায়না রেলওয়ে
সিক্সথ গ্রুপ-
সিআরএসজি।
সোমবার চীনে সফররত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সিআরএসজির ভাইস জেনারেল ম্যানেজার জো হংয়ের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল দেখা করে এ আগ্রহ জানায়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
মন্ত্রী আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী প্রস্তাব পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রুহুল আমিন সিদ্দিক এবং বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এরই মধ্যে উত্তরা থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত এমআরটি-৬ বা মেট্রোলের রুটের কাজ শুরু করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। আগামী ফেব্রুয়ারিতে এই রুটের কাজ শুরুর ঘোষণাও এসেছে। আটটি প্যাকেজের মধ্যে তিনটির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
পূর্বাচল থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট বা এমআরটি-১ নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে।
এদিকে সফররত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে চায়না হার্বারের একটি প্রতিনিধিদল দেখা করে মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। চায়না হার্বারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও লি ইয়েলচুং প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
মন্ত্রী এসময় বলেন, সরকার মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে অগ্রাধিকার দেবে। এটি হবে এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভের মতো। এ সড়ক দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করবে।
এদিকে ৩০ জুন স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণে চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি সই হবে। এসময় চীনের পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।