মোবাইল ডিভাইসের
বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং
সিস্টেম। এদিকে ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশিট বা প্রেজেন্টেশনের কাজের জন্য
এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সমাদৃত হয়ে আসছে মাইক্রোসফটের অফিস প্যাকেজটি।
পিসির পর উইন্ডোজ মোবাইল এবং অ্যাপল ডিভাইসের জন্যও বিশ্বব্যাপী
বহুলব্যবহূত এই সফটওয়্যার প্যাকেজ উন্মুক্ত করা হলেও মাত্র কিছুদিন আগে
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য উন্মুক্ত করা হয় অফিস মোবাইল নামে
মাইক্রোসফট অফিসের একটি আলাদা সংস্করণ। পরীক্ষামূলকভাবে সেই সংস্করণটি চালু
করার পর অবশেষে অফিস প্যাকেজের সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত তিনটি
প্রোগ্রাম—মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, মাইক্রোসফট এক্সেল ও মাইক্রোসফট
পাওয়ারপয়েন্টের জন্য পৃথক পৃথক অ্যাপ চালু করেছে মাইক্রোসফট। গত পরশু এই
অ্যাপ তিনটি যুক্ত হয়েছে গুগল প্লেস্টোরে। এর ফলে ওয়ার্ড, এক্সেল ও
পাওয়ারপয়েন্ট ব্যবহারের সুবিধা এখন থেকে পাবেন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও
ট্যাবলেট পিসির ব্যবহারকারীরা।
প্রেজেন্টেশন
ফাইল তৈরির কাজটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট পিসিতেই নিখুঁতভাবে
করার জন্য তৈরি করা হয়েছে অ্যাপটি। যেকোনো আকারের ডিসপ্লে ডিভাইসে
পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন ফাইলগুলো একইরকম দেখাবে এই অ্যাপ। টাচস্ক্রিন
ডিভাইসে মূল পাওয়ারপয়েন্ট প্রোগ্রামের মতোই একইরকম মেন্যু ও ইন্টারফেস নিয়ে
হাজির থাকবে এই অ্যাপ। ফরম্যাটিং, চার্ট, অ্যানিমেশন, ট্রানজিশন, স্পিকার
নোট প্রভৃতি অপশনগুলোও সহজেই ব্যবহার করা যাবে এই অ্যাপে। সেইসাথে থাকছে
বিশেষ অটো-জুম ফিচার। এতে প্রেজেন্টেশন ফাইলের থিম পরিবর্তনের অপশনটিও সহজে
করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আর শেয়ারিং এবং কোলাবরেশনের সুবিধা তো রয়েছেই।
অ্যান্ড্রয়েডের জন্য মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে
https://goo.gl/DisWUN লিংক থেকে।
স্মার্টফোন
বা ট্যাবলেট পিসি যাতে এক হাতে রেখেই ব্যবহার করা যায়, সেইভাবেই ডিজাইন
করা হয়েছে এই অ্যাপগুলো। প্রতিটি অ্যাপের জন্যই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং
সিস্টেম থাকতে হবে ৪.৪ (কিটক্যাট) বা তার চাইতে আপডেট কোনো সংস্করণ।
সেইসাথে থাকতে হবে ১ গিগাবাইট বা তার চাইতে বেশি র্যাম। জানাচ্ছেন সানজিদা
সুলতানা
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড
পিসিতে
মাইক্রোসফট অফিসের ব্যবহারকারীদের জন্য একই ধরনের ইন্টারফেস নিয়েই
অ্যান্ড্রয়েডে হাজির হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিস অ্যাপটি। ফলে যেকোনো ওয়ার্ড
ফাইল পড়া কিংবা নতুন ওয়ার্ড ফাইল তৈরির কাজটি এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসিতেও সম্পন্ন করা যাবে সহজেই; আর তা করা যাবে
চিরচেনা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের মতো দক্ষতাতেই। টাচ ডিভাইসের জন্য বিশেষভাবে
ডিজাইন করা হয়েছে বলে সব ধরনের স্ক্রিন সাইজের ডিভাইসেই সব ওয়ার্ড ফাইল
দেখা যাবে একই রকম। ওয়ার্ড ফাইলের নেভিগেশন ও মেন্যু অপশনও থাকবে একইরকম।
বিভিন্ন ধরনের ডক্যুমেন্ট ফাইল তৈরির জন্য থাকছে বিভিন্ন ধরনের রেডি
টেমপ্লেট। ডক্যুমেন্ট শেয়ারিং, একাধিক জন একসাথে ডক্যুমেন্ট তৈরি ও
সম্পাদনার সুযোগও থাকছে এই অ্যাপে। এই অ্যাপের ডাউনলোড লিংক
https://goo.gl/mzNWge।
মাইক্রোসফট এক্সেল
মাইক্রোসফট
ওয়ার্ডের মতোই স্প্রেডশিটের সব ধরনের স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসিতে করার
সুবিধা দিতে মাইক্রোসফট এক্সেলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপটি তৈরি করেছে
মাইক্রোসফট। পিসির এক্সেল প্রোগ্রামের মতোই একই ধরনের ইন্টারফেস আর ফিচার
নিয়ে এটি হাজির থাকবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে। ফর্মুলা, চার্ট, স্পার্কলিংক,
টেবিল প্রভৃতি উপকরণও একইভাবে সহজেই ব্যবহার করা যাবে এক্সেলের এই অ্যাপ
থেকে। এক্সেল ফাইল তৈরি, দেখা, সম্পাদনার সব কাজই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল
ডিভাইসগুলোতে করা আরও বেশি সহজ হবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। ক্লাউড-কানেক্টেড
এই অ্যাপের মাধ্যমে সহেজই এক্সেল ফাইল তৈরির পর শেয়ারও করা যাবে এই অ্যাপ
থেকেই। https://goo.gl/Q8G9v5 লিংক থেকে ডাউনলোড করা যাবে এই অ্যাপটি।
মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট