মোবাইল মেসেজিং অ্যাপ হিসাবে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ যে অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন, তা হল হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু এই অ্যাপটি ব্যবহার করা কি আদৌ নিরাপদ?
সম্প্রতি ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের (ইএফএফ) রিপোর্ট দেখলে আপনি শিউরে উঠতে পারেন। কারণ যতটা ভরসা করে আপনি চ্যাট করার সময় আপনার নানা ব্যক্তিগত তথ্য সেখানে লেখেন তা ততটা নিরাপদ নয়। বরং সেই সব তথ্য যে কোনও মুহূর্তে তা চলে যেতে পারে অন্য কারও হাতে।
ইএফএফ যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা মোটেই ব্যবহারকারীদের পক্ষে সুখকর নয়। ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য ইএফএফের পাঁচটি মাপকাঠির চারটিতেই উতরাতে পারেনি হোয়াটসঅ্যাপ।
ইএফএফের নিরাপত্তার মাপকাঠিতে ডেটা সুরক্ষা থেকে তথ্য নিজেদের কাছে জমা রাখা বা কোনও দেশের সরকার যদি হোয়াটসঅ্যাপের কাছে কোনও ব্যবহারকারীর ডেটা চেয়ে পাঠায় সে ক্ষেত্রে বা ব্যবহারকারীদের জানানো ইত্যাদি বিষয়গুলির উপর নজর দেওয়া হয়।
ইএফএফের প্রতিদেনে দেখা গেছে এই পাঁচটির মধ্যে চারটিতেই পুরোপুরি ব্যার্থ হোয়াটস অ্যাপ।
যে সব সংস্থা এই সব মাপকাঠিতে সব বিষয়ে পাস করেছে সেগুলি হল অ্যাপল, ড্রপবক্স, অ্যাডোব, ইয়াহু, ওয়ার্ল্ড প্রেস, উইকিমিডিয়া ইত্যাদি। হোয়াটসঅ্যাপের মতো ভেরিজন-এরও একই অবস্থা।
ইএফএফের এই প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসার পর অনেক ব্যবহারকারী ইতোমধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপকে বিদায় জানিয়েছেন। এখন আপনি কি করবেন, সিদ্ধান্ত আপনার নিজের।