পাকিস্তান ও শ্রীলংকা যুক্ত হতে পারে 'মাশুল নির্ধারিত না হলে ট্রানজিটের সুফল পাবে না বাংলাদেশ'

S M Ashraful Azom
গাড়ি চলাচল ও বাংলাদেশের সড়ক, বন্দর, রেল, নৌ-পথ ব্যবহার ও পণ্য পরিহনের ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মাশুল নির্ধারণ করতে না পারলে কানেক্টিভিটির নামে সই হওয়া ট্রানজিট চুক্তিতে বাংলাদেশ সুফল পাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

‘পরিবহন যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য সুবিধা বৃদ্ধি’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ মতামত দেন।

চার দেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি প্রসঙ্গে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ আন্তঃযোগাযোগে পাকিস্তান, শ্রীলংকাও সামিল হতে পারে। কানেক্টিভিটির এগ্রিমেন্ট অনুসারে ডোর ইজ ওপেন, ইট ইজ এ জার্নি।

চার দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চুক্তি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন,  এ বিষয়ে এডিবি তিন বছরের সময় চেয়েছে। কিন্তু আমরা বলেছি, ছয় মাসের বেশি সময় দেওয়া যাবে না। আশা করি আগামী ছয় মাসের মধ্যে চুক্তি শর্ত অনুসারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব হবে।

শনিবার বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ(সিপিডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে। বাংলাদেশের স্থল, নৌ, বন্দর ও সড়কপথ ব্যবহারে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সই হওয়া চুক্তির বিষয়ে মাশুল নির্ধারণ, চার দেশের মধ্যে সম্পাদিত পরিবহন চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বেলা দশটায় রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমনিারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ, ঢাকাস্থ নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠা, গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠত সেমিনারের মূল প্রবন্ধে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চার দেশীয় যোগাযোগব্যবস্থা বাস্তবায়নে পৃথক মনিটরিং কমিটি ও যৌথ মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করতে হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ বলেন, আমি যোগযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে ভাল এক্সপার্ট নই। তবে কানেক্টিভিটি নিয়ে এযাবৎ যত আলোচনা হয়েছে তাতে আমার কাছে মনে হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ এখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

আলোচনায় অংশ নেন সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচর্য।

এসময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তি বাস্তবায়নে অবকাঠামো উন্নয়ন ও জমি অধিগ্রহণ বড় চ্যালেঞ্জ।

এফবিসিসিআইর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে চুক্তির ফলে ব্যবসার নতুন নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলে একটি চুক্তি সই হয়। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এ চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির অধীনে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক-লরি ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে এই চার দেশের মধ্যে চলাচল করা যাবে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top