সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমালেও বিক্রি কমছে না। সর্বশেষ গত মে মাসেও প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ১১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা। বিক্রির ওই পরিমাণ সরকারের বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শুরুতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। ক্রমাগত বিক্রি বাড়তে থাকায় এ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শুরুতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে ৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল। ক্রমাগত বিক্রি বাড়তে থাকায় এ লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকের তুলনায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদের হার কিছুটা বেশি হওয়ায় এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। এজন্য গত মে মাসের শুরুতে অর্থমন্ত্রী সঞ্চয়পত্রের সুদের হার গড়ে ২ শতাংশ হারে কমানোর ঘোষণা দেন। তার পরও এ খাতে বিক্রি কমানো যায়নি। অন্যদিকে সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে বাজেট আলোচনায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোয় সমালোচনা করেছেন।
সরকার ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো ও ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে এই তিন খাতে মোট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে অতীতে বিনিয়োগ করা মূল অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। মূল অর্থ বাদ দেওয়ার পর নিট বিক্রি প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ৮ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে।
সরকার ব্যাংক, সঞ্চয় ব্যুরো ও ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে এই তিন খাতে মোট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা। এই সময়ে অতীতে বিনিয়োগ করা মূল অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। মূল অর্থ বাদ দেওয়ার পর নিট বিক্রি প্রায় সাড়ে ২৬ হাজার কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে ৮ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে।
এদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানো নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যেও দ্বিমত রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবী বা কম আয়ের লোকজনই এই সঞ্চয়পত্র কিনে থাকেন। তাই এ খাতে সরকারের ব্যয় কিছু বাড়লেও তা এ শ্রেণির মানুষের উপকারে আসছে। এটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে তাদের বিরত রাখার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে বলে মনে করেন তারা।
এতদিন ৫ বছর মেয়াদি পারিবারিক ও পেনশন সঞ্চয়পত্র কিনলে ১৩ দশমিক ৪৫ ও ১৩ দশমিক ২৬ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হতো। কিন্তু সুদের হার কমানোর পর বর্তমানে ৫ বছর মেয়াদি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ, ৫ বছর মেয়াদি পেনশনার সঞ্চয়পত্রে সুদের হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ করা হয়েছে। ৩ বছর মেয়াদি ৩ মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ৩ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম সমন্বয় করে মুনাফার হার ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে উেস আয়কর কর্তনের বিধানও বহাল রাখা হয়েছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা প্রিমিয়াম প্রদানের বিদ্যমান সুবিধা বাতিল করা হয়েছে।