মরণোত্তর সম্মাননা পেলেন প্রথম কম্পিউটার অপারেটর

S M Ashraful Azom
বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার অপারেটর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার হুলহুলিয়া গ্রামের কৃতি সন্তান মো. হানিফ মিয়াকে মরণোত্তর সম্মাননা পদক দেয়া হয়েছে। আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আইসিটি এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে তার পরিবারের হাতে পদক  তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। মো. হানিফের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন তার স্ত্রী, পুত্র শরীফ হাসান সুজন এবং নাতি ইরফান।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় এই পুরস্কার দেয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সভাপতি এএইচএম মাহফুজুল আরিফ, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, তথ্য ও প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বারসহ অন্যান্যরা।
hanif
ঢাকায় ১৯৬৪ সালে প্রথম কম্পিউটার আসে। কম্পিউটারটি ব্যবহার করা হয় পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে। সেখানে তিনি প্রথম কম্পিউটারটি ব্যবহার করেন। সেটি ছিল একটি আইবিএমের মেইনফ্রেম কম্পিউটার। ওটার মডেল ছিল ১৬২০।
ঐ কম্পিউটারটি তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকার শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে পাঠায়। কিন্তু এই যন্ত্র আগে পশ্চিম পাকিস্তানের বাসিন্দাদের কেই চোখে দেখেনি। তাই কেউ এটি ব্যবহারও করতে পারে না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পূর্ব পাকিস্তানের একজনকে পাওয়া যায়। তার নাম মো. হানিফ। তিনি এই কম্পিউটারের ব্যবহার জানেন। ইতোপূর্বে তিনি অ্যানালগ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে ট্রেনিং করেছেন।
কিন্তু হানিফ মিয়া পাকিস্তানের লাহোরে গিয়ে এই কম্পিউটার চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ফলে পাকিস্তানের সরকার নিরুপায় হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয় কম্পিউটারটি।
ঢাউস আকৃতির সেই মেইনফ্রেম কম্পিউটারটি ঠাঁই হয় ঢাকার আণবিক শক্তি কমিশনের কার্যালয়ে। সেখানে হানিফ কম্পিউটারটি ব্যবহার শুরু করেন।
হানিফ মিয়ার জন্ম হয় ১৯২৯ সালের ১ নভেম্বরে নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। তিনি মারা যান ২০০৭ সালের ১১ মার্চ।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top