সেরা সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা
সেবাহটনিউস ডেস্ক : পৃথিবীতে বহু প্রতিযোগিতার নাম শোনা যায়। কিন্তু সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা, তা আবার হয় নাকি? একি বিশ্বাসযোগ্য!অবিশ্বাস্য হলেও এটাই সত্য! এ পৃথিবীতে কত অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটে, এটা যেন তারই একটি অংশ মাত্র। অনেক সময় স্থান-কাল-পাত্র থেকে ঘটনাই মানুষের কাছে আকর্ষণীয় এবং চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠেছে।
উত্তর ইউরোপের ছোট্ট দেশ লিথুয়ানিয়া। রাজধানী ভিলনিয়াস। অবশ্য ঘটনা ভিলনিয়াসে নয়। উপাতি নদীর কূল ঘেষে ছোট্ট রামিয়ালা নগরীতে সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হল গত মঙ্গলবার।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রামিয়ালা নগরীতে লোকসংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন। চারিদিকে সবুজের সমারোহ। গাছ গাছালি আর ছায়াঘেরা পরিবেশে অনাবিল সুখে দিন যাপন করছেন সেখানকার মানুষ জন।
নেই কোন কোলাহল, নগর জীবনের সব ধরনের ব্যস্ততা থেকে অনেক দূরে রামিয়ালার মানুষ। রামিয়ালাকে নগর বললে ভুল করা হয়, বরং গ্রাম্য পরিবেশ বজায় রয়েছে। স্থানীয় মানুষ কোন প্রকার দ্বন্দ্ব, সংঘাতে জড়িত নয়।
স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় এবং প্রবল আগ্রহে সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মূলত আকর্ষনীয় এ প্রতিযোগিতা আয়োজক ও পৃষ্ঠপোষক ন্যানি মার্স। পেশায় তিনি শিক্ষিকা।
ন্যানি মার্স জানান, প্রতি বছরই সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। দিনকে দিন এ প্রতিযোগিতার প্রতি আকর্ষন বৃদ্ধি পাচ্ছে স্থানীয়দের। ষোড়শ শতাব্দীতে রামিয়ালা ছিল একটি গ্রাম। পুরো এলাকা ছিল ছাগলের চারণভূমি।
এ এলাকার মানুষ ছাগলকে খুবই সেবা যতœ করে। সাধারণ মানুষের আগ্রহ আর ইচ্ছার জোরেই সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।
ন্যানি মার্সের মতে, রামিয়ালার মানুষ মনে করে ছাগল হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার প্রতীক। আর সে কারণেই ৬৪৫ বছর ধরে সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতার আয়োজন করে চলেছেন তারা। দিনকে দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
প্রতিযোগিতার আয়োজনে বেশ নান্দনিকতার ছাপ রয়েছে। নারী সুন্দরী প্রতিযোগিতায় নারীরা প্রথমে প্যারেডে অংশ নেয়, ঠিক তেমনি সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহনকারী ছাগলরা প্যারেডে অংশ নেয়। এ প্যারেডকে বলা হয় ‘ছাগল প্যারেড’।
প্রতিযোগী ছাগল এরপর মঞ্চে আসে, তার সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলে, বিচারক মন্ডলীকে মুগ্ধ করার সব ধরনের চেষ্টা করে। এ কাজটি করেন ছাগলের যিনি মালিক। তিনি ছাগলকে নিয়ে নানা রকম কসরত প্রদর্শন করেন, তার রূপ, গুন, আকর্ষণ বিচারকদের সামনে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন।
ভিলনিয়াস থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তরে রামিয়ালাতে এ মনোরম ও চিত্তাকর্ষক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাড়াও প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।
সুন্দরী ছাগলগুলো প্যারেডে অংশ নিয়ে তাদেও রূপের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। ছাগলগুলোকে লিথুয়ানিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করানো হয়। ঐতিহ্যবাহী পোষাকে ছাগলগুলোকে নাচানো হয়।
এক ঘন্টাব্যাপী প্রতিযোগিতা চলে। এ প্রতিযোগিতার আয়োজক এবং সংগঠক লরেটো কুবলিমিনি বলেন, এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সেরা সুন্দরী ছাগলকে বাছাই করে তাকে মুকুট পরিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয় অষ্টাদশী তরুণী ম্যারিউস ড্যানিলা বলেন, সুন্দরী নারী প্রতিযোগিতা হতে পারলে, ছাগল প্রতিযোগিতা হতে বাধা কোথায়?
এ সুন্দরী তরুণীর মতে, সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতা খুবই মজার ব্যাপার। সবাই আগ্রহ নিয়েই এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করেন। সুন্দরী ছাগল প্রতিযোগিতায় এবার সেরা সুন্দরী খেতাবে ভূষিত হয়েছে সারেজা ডবোরস্কির মার্স ছাগলটি।
পুরস্কার পাওয়ার পর সারেজা বলেন, এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি। মার্স ছাগলটিকে বাসায় নিয়মিত সেবা যতœ ও প্রশিক্ষণ দিতাম। কিভাবে হাঁটতে হবে, চলাফেরা, বসা সব কিছুই এক বছর প্রশিক্ষণ দিয়েছি। সাফল্য পেয়ে ভীষণ ভালো লাগছে।
৩ জুলাই থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট, ট্রেনের আরো পরে
ঢাকা রিপোর্ট ডেস্ক
৩০ জুন, ২০১৫
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩ জুলাই থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
সোমবার বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের গাবতলী কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ১০ জুলাই এবং ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ জুলাই থেকে।
বাস মালিকরা ১২ রমজান থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ১২ রমজান মঙ্গলবার হওয়ায় তা পেছানো হয়। এক্ষেত্রে ৩ জুলাই শুক্রবার থেকে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টির বেশি রুটে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর বিভিন্ন কাউন্টার থেকে পরিবহন সার্ভিসগুলো এ টিকিট বিক্রি করবে। তবে গতবারের মতো সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে কোন অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে না।
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘৩ জুলাই অর্থাৎ ১৫ রমজান সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে কোন কোম্পানি আগ্রহী থাকলে আগেও টিকিট বিক্রি শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া আছে, তা-ই নেয়া হবে। এর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হবে না। যদি কেউ বেশি ভাড়া নেয়, তাহলে সমিতির পক্ষ থেকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে ১০ জুলাই থেকে। শীঘ্রই এ বিষয়ে বৈঠক করে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে ৯ থেকে ১৩ জুলাই। ৯ জুলাই বিক্রি হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১০ জুলাই বিক্রি ১৪ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের ও ১৩ জুলাই বিক্রি হবে ১৭ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে এই অগ্রিম টিকিট অগ্রিম বিক্রি হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, একজন যাত্রী চারটির অধিক টিকিট কিনতে পারবে না। এছাড়া বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৬ জুলাই থেকে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিক্রি হবে ফিরতি টিকিট। ওইদিন বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকিট, ১৭ জুলাই ২১ জুলাইয়ের, ১৮ জুলাই ২২ জুলাইয়ের, ১৯ জুলাই ২৩ জুলাইয়ের ও ২০ জুলাই ২৪ জুলাইয়ের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন হতে বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
৩ জুলাই থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট, ট্রেনের আরো পরে
ঢাকা রিপোর্ট ডেস্ক
৩০ জুন, ২০১৫
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ৩ জুলাই থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে।
সোমবার বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের গাবতলী কার্যালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস ১০ জুলাই এবং ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ জুলাই থেকে।
বাস মালিকরা ১২ রমজান থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ১২ রমজান মঙ্গলবার হওয়ায় তা পেছানো হয়। এক্ষেত্রে ৩ জুলাই শুক্রবার থেকে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৬০টির বেশি রুটে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর বিভিন্ন কাউন্টার থেকে পরিবহন সার্ভিসগুলো এ টিকিট বিক্রি করবে। তবে গতবারের মতো সায়েদাবাদ ও মহাখালী থেকে কোন অগ্রিম টিকিট দেয়া হবে না।
বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ও শ্যামলী পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘৩ জুলাই অর্থাৎ ১৫ রমজান সকাল থেকে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে কোন কোম্পানি আগ্রহী থাকলে আগেও টিকিট বিক্রি শুরু করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত যে ভাড়া আছে, তা-ই নেয়া হবে। এর চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হবে না। যদি কেউ বেশি ভাড়া নেয়, তাহলে সমিতির পক্ষ থেকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করবে ১০ জুলাই থেকে। শীঘ্রই এ বিষয়ে বৈঠক করে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে ৯ থেকে ১৩ জুলাই। ৯ জুলাই বিক্রি হবে ১৩ জুলাইয়ের টিকিট, ১০ জুলাই বিক্রি ১৪ জুলাইয়ের, ১১ জুলাই ১৫ জুলাইয়ের, ১২ জুলাই ১৬ জুলাইয়ের ও ১৩ জুলাই বিক্রি হবে ১৭ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে এই অগ্রিম টিকিট অগ্রিম বিক্রি হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, একজন যাত্রী চারটির অধিক টিকিট কিনতে পারবে না। এছাড়া বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। পাশাপাশি ঈদ পরবর্তী ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ১৬ জুলাই থেকে। পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে বিক্রি হবে ফিরতি টিকিট। ওইদিন বিক্রি হবে ২০ জুলাইয়ের টিকিট, ১৭ জুলাই ২১ জুলাইয়ের, ১৮ জুলাই ২২ জুলাইয়ের, ১৯ জুলাই ২৩ জুলাইয়ের ও ২০ জুলাই ২৪ জুলাইয়ের ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন হতে বিশেষ ব্যবস্থায় ফিরতি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।