চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে
বিমান বাহিনীর
এফ-৭
নামের একটি
যুদ্ধ বিমান
বিধ্বস্ত হয়ে
নিখোঁজ পাইলট
তাহমিদের সন্ধানে
পানির নিচে
অভিযান শুরু
করেছে নৌবাহিনী
ও কোস্টগার্ড।
সোমবার রাতে এই অনুসন্ধান কাজ শুরু হয়। পাইলটের খোঁজ না পাওয়া পর্যন্ত সন্ধান চলবে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির ইঞ্জিন শনাক্ত করা গেছে। আমাদের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘সিজিএস তৌফিক’ বিমানের ভাঙা দুটি অংশ উদ্ধার করেছে। তবে বিমানের পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁর সন্ধানে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা পানির নিচে অভিযান শুরু করেছে।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের লে কমান্ডার দুরুল হুদা জানান, কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সিজিএস তৌফিক, তিনটি মেটাল শার্ক স্পিড বোট, নৌ বাহিনীর ৩টি যুদ্ধ জাহাজ (অতন্দ্র, মধুমতি ও সুরভী) উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। যুদ্ধ জাহাজের সাইড স্ক্যান সোনার দিয়ে সাগরের তলদেশে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এছাড়া বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার ও বন্দরের একটি অ্যাম্বুলেন্সশিপ ঘটনাস্থলে আছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবে এফ-৭ যুদ্ধ বিমানটি উড্ডয়ন করেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তাহমিদ। বেলা সোয়া ১১টার দিকে কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে বিমানটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।
নিখোঁজ পাইলট তাহমিদ চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর ইউনিয়নের বাসিন্দা।