গত অর্থবছরের বাজেটে কোনো বাড়ির মোট
ভাড়া ২৫ হাজার টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করার বিধান করা
হয়েছিল। ফলে করদাতারা হয়রানির শিকার হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ
ট্যাক্স পেয়ার্স সোসাইটি নামের একটি সংগঠন।
বুধবার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিধানকে কালাকানুন আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি তোলা হয়।
এ সময় বলা হয়, ব্যাংকে বাড়িভাড়া জমার বাধ্যবাধকতা অযৌক্তিক। এর মাধ্যমে কেবল অসত্ রাজস্ব আদায়কারী কর্মকর্তারা লাভবান হবেন।
সংগঠনের সভাপতি নূরুল আজহার শামীকের সভাপতিত্বে এ সময় লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন মহাসচিব হান্নান হোসেন।
তিনি
বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে কর ফাঁকি বন্ধে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের
শাস্তির কোনো ব্যবস্থা নেই। ট্যাক্স পেয়ার্স সোসাইটির পক্ষ থেকে ব্যক্তি
শ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা, পূর্বের হারে অর্থাত্ সিটি
কর্পোরেশন, জেলা ও উপজেলায় ন্যূনতম কর তিন হাজার, দুই হাজার এবং এক হাজার
টাকা বহাল রাখা, গৃহসম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত খরচ বাবদ ২৫ শতাংশ
অনুমোদিত খরচ বহাল রাখা, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বকেয়া মালামাল ক্রয়ের ওপর
করারোপ না করা, ডেভেলপার কর্তৃক জমির মালিককে অগ্রিম প্রদত্ত অর্থ
প্রদানকালে (সাইনিং মানি) ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান
যুক্ত করার দাবি জানান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আবুল হাসিব খান, জালাল উদ্দিন আহমেদ, তুষার রায় ও রেজাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।