অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে হঠাত্ করেই হল ত্যাগ করার নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছিলেন। ঢাকায় যাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাসা রয়েছে, তারাই শুধু হল ছেড়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার সকালের মধ্যে তারা হল ছাড়বেন।
ভিসির পদত্যাগ দাবিতে শাবিতে আন্দোলন শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি তামিম মজিদ জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আমিনুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবিতে শাবি শিক্ষকদের একাংশের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ৪র্থ দিনের মত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকদের একটা বড় অংশ ভিসির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনেকেই তাদের অবস্থান থেকে সরে আসছেন। ফলে গতকাল অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব দফতর খুলে দেয়া হয়েছে। তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে এই শ্বেতপত্রকে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে জানিয়েছেন অপর পক্ষের শিক্ষকরা।
ক্যাম্পাস সূত্র জানিয়েছে, গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল, তার স্ত্রী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের সাথে দূরত্বের জের ধরে উপাচার্য ড. মো: আমিনুল হক ভূঁইয়ার পদত্যাগ দাবিতে গত কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের একাংশ। আন্দোলনকারী শিক্ষক নেতা অধ্যাপক সৈয়দ সামসুল আলম বলেন, ভিসি পদ্যতাগ না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জানতে চাইলে ভিসি অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া বলেন, ‘আমি আশাবাদী, শিক্ষকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিবেন। আলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার যেসব অভিযোগ তুলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তা একেবারে মিথ্যা ও বানোয়াট। শিক্ষকরা সত্যবাদী আচরণ করবেন, এটা সবাই প্রত্যাশা করে।’
ছাত্রলীগ নেতাদের চাকরির দাবিতে বেকায়দায় ইবি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু জানান, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে চাকরি প্রত্যাশি ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক নেতাদের দাবি নিয়ে ইবি প্রশাসন অসহায় ও জিম্মি হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন, ভিসি অফিস ও অন্যান্য ভবনে তালা ঝুলিয়ে টানা তিন দিনের অবরোধ চলাকালে কর্তৃপক্ষের সাথে সমঝোতা বৈঠকের পর বুধবার রাতে ছাত্রলীগ নেতারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু চাকরি প্রত্যাশি ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের নেতৃত্বে গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক পরিবহনের চাবি কেড়ে নিয়ে বাস আটকে রাখায় ক্যাম্পাসে নতুন করে সংকট শুরু হয়েছে। চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতাদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বৈঠক করায় অপর গ্রুপের নেতাদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ফলে ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের সংঘবদ্ধ নেতারা ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টারদিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় ও ঝিনাইদহ শহরের হামদহ মোড় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র পরিবহনের চাবি কেড়ে নিয়ে সব বাস আটকে দেয়। ফলে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা গতকাল ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এদিকে প্রশাসনের সাথে সমঝোতা বৈঠকের পর ছাত্রলীগের এক গ্রুপের আন্দোলন প্রত্যাহারের পর পরই অপর গ্রুপ চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নামায় ক্যাম্পাসে নতুন করে সংকট দেখা দিয়েছে।