প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় যশোরে স্কুলের মধ্যে ছাত্রীর ওপর এসিড হামলা

S M Ashraful Azom
প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (১৩) এসিডে দগ্ধ করেছে একই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। বুধবার দুপুরে জেলার সীমান্ত উপজেলা শার্শার বাগআঁচড়া কায়বা বাইকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে।

সুমাইয়া বাগআঁচড়া গ্রামের আক্তারুজ্জামানের মেয়ে। এসিড সন্ত্রাসী শামিম হোসেন একই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে।

এ ঘটনায় শামিমের পিতা খলিলকে আটক করেছে পুলিশ। এসিডদগ্ধ সুমাইয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় বাগআঁচড়া ক্লিনিকে এবং পরে সন্ধ্যায় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মেয়েটিকে এসিডে আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমাইয়া আক্তার জানান, বেশ কিছুদিন থেকে শামিম তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু এতে সে কখনোই রাজি হয়নি। বুধবার স্কুলের বাথরুমে গেলে শামিম পেছন দিক থেকে এসিড ছুঁড়ে মারার চেষ্টা করে। পরে সামনের দিক থেকে সিরিঞ্জ দিয়ে এসিড ছুঁড়ে মারে। এসময় সে ওড়না দিয়ে মুখ রক্ষা করার চেষ্টা করে। কিন্তু শামিমের ছুঁড়ে দেয়া এসিডের কিছু অংশ তার মুখ ও কপালের উপরে লাগে।

সুমাইয়ার মা আবিরুন নেছা ও চাচা রেজাউল হক হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, সর্বশেষ ২৭ রমজান বিকেলে শামিম তাদের বাড়ির সামনে সুমাইয়াকে উক্ত্যক্ত করে। তখন সুমাইয়ার বড়ভাই রবিন হোসেন প্রতিবাদ করলে দুই পরিবারের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা প্রাথমিকভাবে মীমাংসা করে দেন। কিন্তু ঈদের পর স্কুল খোলার প্রথমদিনেই এ ঘটনা ঘটল।

শার্শা থানার ওসি এনামুল হক জানান, শামিম বখাটে প্রকৃতির। সে মেয়েটিকে স্কুলের মধ্যেই সিরিঞ্জে করে এসিড মেরেছে বলে তারা ধারণা করছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। শামিমের পিতা খলিলকে আটক করা হয়েছে।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top