নগর সংস্কৃতি ভরতনাট্যমের শৈলীতে শুদ্ধতম অনুভব

S M Ashraful Azom
সুর ও ছন্দের দোলা আমাদের এক ভিন্ন পৃথিবীতে নিয়ে যায়। যেখানে হিংসার জন্ম হয় না। সুরের সেই শক্তি আছে। সুরের ছোঁয়ায় মন থেকে ঘৃণা, হিংসা এসব মিলিয়ে যায়। হূদয়ে ছড়ায় শুদ্ধতম অনুভব। গতকাল ভরতনাট্যমের নৃত্যশৈলীতে শিল্পীরা সেই অনুভব ছড়ালেন ছায়ানটে উপস্থিত দর্শকদের হূদয়ে।
 
নৃত্যশিল্পীরা ভরতনাট্যমের শিল্পিত প্রকাশের মাধ্যমে পৌরাণিক গল্প বর্ণনা করলেন। ভরতনাট্যম ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যকলা যা দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে উত্পত্তি। ভরতমুনির লেখা নাট্য শাস্ত্র গ্রন্থে ভরতনাট্যম নাচের বর্ণনা রয়েছে। মহাদেব শিবকে এই নৃত্যশৈলীর প্রধানপুরুষ মানা হয়। গত দুইটি দিন  ছায়ানট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ‘রঙ্গপ্রবেশ-২০১৫’। এই উত্সব ছিল ভরতনাট্যম নৃত্যের সাথে সাথে সুর-তাল-লয়ের এক ভরপুর আয়োজন। গুরু অমিত চৌধুরীর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন তাঁর আটজন শিক্ষার্থী জুয়েইরিযাহ মৌলি, রানী মৃধা, শাম্মী আখতার, আনিষ্ঠা খান, শুদ্ধা এস দাস, তাহসিন সাবা তুরশী, পারিসা ওমর ও আভিয়া খান।  এ ছাড়া অতিথি শিল্পী হিসাবে ভারত থেকে এসেছিলেন রাজদীপ ব্যানার্জি, এ কঙ্কও, সত্য বিশাল ও সুকুমার কুট্টি।
 
ছায়ানট ভবনের প্রধান মিলনায়তনে সাধনা আয়োজন করেছিল দুই দিনব্যাপী এ ভরতনাট্যম নৃত্য অনুষ্ঠানের। গতকাল ছিল তার শেষ দিন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কল্পতরু বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শিল্পী লুবনা মারিয়াম। মঙ্গলদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভরতনাট্যমের ছন্দে মুগ্ধ করলেন নৃত্যগুরু অমিত চৌধুরী।  এরপর দলবদ্ধ পরিবেশনা নিয়ে আসেন তার আট শিক্ষার্থী। এভাবেই পর্যায়ক্রমে শিল্পীরা পরিবেশন করেন তাদের ভরতনাট্যম।
 
উল্লেখ্য, নৃত্য কিংবা অন্যান্য পারফর্মিং আর্টের চর্চা আর অনুশীলনের লক্ষ্য নিয়ে ‘কল্পতরু’ ২০০৮ থেকে যাত্রা শুরু করেছে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ার এই পথে ২০১৫ সালে এসে ‘কল্পতরু’র শিল্পীরা আজ আয়োজন করলো দুই দিনব্যাপী এই উত্সবের।
 
ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গান ও আবৃত্তির মোহময় সন্ধ্যা
 
রাজধানীর গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় ভিন্নধর্মী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গতকাল শ্রাবণ সন্ধ্যায় বসে রবীন্দ্রসংগীত ও আবৃত্তির আসর। এতে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন কলকাতার শিল্পী দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আবৃত্তি করেন বাংলাদেশের আবৃত্তিশিল্পী বেলায়েত হোসেন।
 
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল আবৃত্তি। বেলায়েত হোসেন আবৃত্তি করে শোনান ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর’ কবিতা। তারপরই দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় গেয়ে শোনান রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘ আজ ধানের ক্ষেতে’। কখনো আবৃত্তি, কখনো গানে গোটা সন্ধ্যাটি হয়ে উঠেছিল মোহময়। শিল্পী দোলা গাইছিলেন বর্ষার গান। তখন মিলনায়তনের বাইরে ঝরছিল শ্রাবণের বারিধারা। তিনি একে একে গেয়ে শোনান ‘মন মোর মেঘের সঙ্গী’, ‘শ্যামল ছায়ায় নাইবা গেলে’ ইত্যাদি রবীন্দ্রসঙ্গীত। আর বেলায়েত হোসেনও আবৃত্তি করেন বৃষ্টির কথা।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top