আফ্রিকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসায় ওবামা কেনিয়ায় পরিবারের সঙ্গে নৈশভোজ

S M Ashraful Azom
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আফ্রিকার অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, আফ্রিকা এখন গতিশীল। গতকাল শনিবার কেনিয়ায় এক ব্যবসা সম্মেলনে ওবামা এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার ওবামা তার বাবার দেশ কেনিয়ায় পৌঁছান। রাতেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এক ভোজে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। এই প্রথম কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কেনিয়া সফর করলেন। কেনিয়ার জনগণ ওবামাকে নিজেদের সন্তান মনে করেন। -খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
 
কেনিয়ায় পারিবারিক আত্মীয়দের সাথে সময় কাটানোর পাশাপাশি ওবামা বাণিজ্য ও সন্ত্রাস বিরোধী ইস্যু নিয়ে এক সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট ওবামা ব্যবসা ক্ষেত্রে নারী ও যুবকদের সংযুক্ত হওয়ার আহবান জানান। তিনি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা ঘোষণা করেন যার অধিকাংশই ব্যয় হবে নারীদের কল্যাণে। ওবামা বলেন, দলের অর্ধেক খেলোয়াড় না খেললে সেখানে পরাজয় নিশ্চিত। তেমনি দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক (নারী) যদি কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ না করেন তাহলে সেই দেশ উন্নতি করতে পারে না।
 
কেনিয়ায় পৌঁছানোর পর ওবামাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ওবামাকে বহনকারী এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমানটি নাইরোবিতে অবতরণ করে। তার সফর উপলক্ষে পুরো দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সোমালিয়া ভিত্তিক আল-শাবাব জঙ্গি গোষ্ঠীর বিস্তারে সেখানে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় ওবামা নিজ গ্রামে যাননি। কেনিয়ায় ওবামার সত্ দাদী, মা এবং বোনসহ অনেক আত্মীয়-স্বজন রয়েছে। তাদের সম্মানে তিনি রাজধানী নাইরোবির যে হোটেলে অবস্থান করছেন সেখানে এক নৈশভোজের আয়োজন করেন। বিমানবন্দরেই ওবামাকে তার সত্ বোন ওউমা স্বাগত জানান এবং আবেগাপ্লুত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন ওবামা। হোটেলে ওবামা তার দাদীর পাশে যেয়ে বসেন। ‘মামা সারাহ’ নামে পরিচিত এই সত্ দাদীই ওবামার বাবাকে শিশু অবস্থায় প্রতিপালন করেছিলেন। হোটেলে ওবামার বৃহত্ পরিবারটির অনেক আত্মীয়-স্বজনও উপস্থিত ছিলেন। এই হোটেলেরই রেস্তোরাঁর একটি টেবিলে সবাই পাশাপাশি বসেন। স্যুট-টাই পরা ওবামা সবার সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলেন।  
 
এক বক্তব্যে ওবামা বলেন, এই সফরটি অনেকটা আমার ব্যক্তিগত। তিনি আরো বলেন, আমার নাম বারাক হোসেইন ওবামা হওয়ার পেছনে কারণ আছে। এক টুইটার বার্তায় ওবামা বলেন, প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেনিয়া সফর করে এবং পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এবং যুবকদের সঙ্গে তাদের ভবিষ্যত্ নিয়ে কথা বলতে পেরে আমি গর্বিত। ওবামার কেনিয়ায় ১৯৯৮ সালে মার্কিন দূতাবাসে জঙ্গি হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
 
সম্মেলনে ওবামা সঙ্গে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা অংশ নেন। তিনি বলেন, ২০১৩ সালে কেনিয়ার শপিংমলে জঙ্গি হামলায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশা করি, প্রেসিডেন্ট ওবামার এই সফরে সেই ভাবমূর্তি ঢেকে যাবে এবং বিশ্ব কেনিয়া সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পাবে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top