রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অজ্ঞানপার্টির ৫ সদস্যকে
গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন—আব্দুল
মতিন ওরফে অজ্ঞান মতিন, আবুল বাশার, সেলিম, শিমুল ও আবুল হোসেন। এদের মধ্যে
একজন ব্যাংক কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বেলা ১১টার
দিকে কালভার্ট রোড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
ঈদ এলেই অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির তত্পরতা রাজধানীতে বেড়ে যায়। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, পরিবহন বাস ও মার্কেটে এরা সক্রিয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি সূত্রে জানা গেছে— রাজধানীতে বর্তমানে এই
চক্রের শতাধিক সদস্য সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে একটি গ্রুপের প্রধান আব্দুল
মতিন। এর আগেও বিভিন্ন সময় যেসব অজ্ঞান পার্টির সদস্য গ্রেফতার হয়েছিল
তাদের বেশির ভাগই জামিনে অথবা সাজা খেটে জেল থেকে বেরিয়ে আবারও আগের পেশায়
ফিরে যায়।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে—অজ্ঞান
পার্টি প্রধান হচ্ছে—আব্দুল মতিন। এ ছাড়া, আবুল বাশার বর্তমানে সোনালী
ব্যাংকে ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে অজ্ঞান করার
১৮০০ পিস নিষিদ্ধ এটিভান ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘চাকরির পাশাপাশি মতিঝিলের কালভার্ট রোডে বাশারের গাউছিয়া নামে
একটি ফার্মেসি রয়েছে। সেখান থেকে তিনি অজ্ঞানপার্টির সদস্যদের এটিভান
নামের ওই ওষুধ সরবরাহ করতেন। এ ছাড়া, আব্দুল মতিন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে
অজ্ঞান করার বিভিন্ন ওষধ সংগ্রহ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে
থাকে।’
তিনি জানান—এ চক্রটি ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা বাস, লঞ্চ ও
রেল স্টেশন এলাকায় কৌশলে খাবারের সাথে এটিভান ট্যাবলেট মিশিয়ে খাইয়ে
মানুষের সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়।
মনিরুল ইসলাম
জানান—এ বছর ডিবি অজ্ঞান পার্টির মোট ৫৪ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের
মধ্যে ২৫ জনকে ওষুধ সরবরাহ করতেন বাশার নিজেই। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে
১৮০০ পিস এটিভান ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা
গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
গোয়েন্দা সূত্র
আরো জানায়—এটিভান একটি আমদানি নিষিদ্ধ ঘুমের ওষুধ। এটি ভারত ও পাকিস্তানে
তৈরি হয়। বাশার সীমান্ত এলাকা থেকে ওষুধগুলো অবৈধভাবে আমদানি করে এবং
অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হতো।