খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে সহস্রাধিক মানুষ

S M Ashraful Azom
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় সহস্রাধিক মানুষ। সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের বর্ষণে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় বেশ কয়েকটি পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। অথচ ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ের ঢালে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে  সরিয়ে নিতে স্থানীয় প্রশাসনের কোন ধরনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনের রয়েছে পরস্পর বিরোধী অবস্থান।
 
খাগড়াছড়ি শহরের মোল্লাপাড়া, সবুজপাগ, শালবল, ধর্মঘর মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার মানুষ। ইতোমধ্যে ডিসি বাংলো পাহাড়, সবুজবাগ, ধর্মঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস দেখা দেয়ায় এসব বাসবাসকারীরা আতঙ্কে ভুগছেন। এদিকে শহরের বেশ কয়েকটি স্পটে পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে  অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ বেড়েই চললেও পাহাড় কেটে বাড়িঘর নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি।  অপর দিকে পাহাড়ে পাদদেশে বসবাসকারীরা বলছে, থাকার জায়গা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা পাহাড়ের পাদদেশে বাস করছে।
 
পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় থাকলেও এসব মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে প্রশাসনের যেমন উদ্যোগ নেই, ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকাও প্রশাসনের কাছে নেই। তবে পৌর এলাকার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদে সরে যেতে প্রচার করা হচ্ছে বলে জানান পৌর মেয়র রফিকুল আলম। তবে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার কারণে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরানো সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
 
এদিকে জেলা প্রশাসক ওয়াহিদ্দুজ্জামান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
 
খাগড়াছড়িতে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের পাদদেশে নির্মাণ করা হচ্ছে বাড়িঘর। ফলে খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসের ঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে দ্রুত পাহাড় কাটা বন্ধ ও পাহাড়ের ঢালে বসতি স্থাপন বন্ধের উদ্যোগ না নিলে যে কোন সময় প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top