সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায়
নিহত ১৬
: তদন্ত কমিটি
গঠন
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বক) আনোয়ার পাশাকে প্রধান করে এই কমিটিকে আগামী ৩ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, আজাদ পরিবহনের চালক মিনহাজ প্রধান (৪০), গাইবান্ধার সবুজ (২৫), লিটন আহমদ (৩০), রংপুর জেলার বদরগঞ্জের তাহেরা বেগম (৩৫), দিনাজপুর জেলার পাবর্তীপুর উপজেলার মোনমতাপুর গ্রামের কার্তিক রায়ের ছেলে বাবু রায় (২৫) চিচিরবন্দর উপজেলার পুনাট গ্রামের আশিনাথ রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় (১৮), রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলার আজিজুল হকের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (১৯), গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ি উপজেলার বাদশা মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (২০) ও বগুড়ার জিল্লুর রহমান। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, চট্রগ্রাম থেকে সাব্বির হোসেন পরিবহনের একটি বাস দিনাজপুর এবং বগুড়া থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা যাচ্ছিল। বাস দুটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই উভয় বাসের চালকসহ ১২ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর ৩ জন মারা যায়। এ ঘটনায় উভয় বাসের অন্তত ৪৮ জন আহত হয়। ঘটনার পর সেতু বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সেতু বিভাগের ট্রাফিক ম্যানেজার লে. কমোডর মুজাহিদ উদ্দিন ঘটনাস্থল ও সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে। আহতদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল, শহরের কমিউনিটি ক্লিনিক, আভিসিনা ক্লিনিক, মেডিনোভা ক্লিনিক, মঈন উদ্দিন মেমোরিয়াল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ১০ জনকে বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, নিহতদের প্রতি পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হবে। আহতরা যাতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায় সে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সদর হাসপাতালের বাইরেও শহরের কয়েকটি ক্লিনিকে রোগী ভর্তি করা হয়েছে।