দেশে
১৯৯১ সালে প্রথমবারের মত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ব্যবস্থার প্রচলনের পর
দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বর্তমানে রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত এটি। পরোক্ষ কর হওয়ায়
ভ্যাটের আওতায় স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষও। অন্যদিকে বিভিন্ন পন্থায় ভ্যাট
ফাঁকির অভিযোগও রয়েছে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সরকারি বিভিন্ন
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ সব আলোচনায় নতুন
মাত্রা যোগ করেছে নতুন ভ্যাট আইন। আগামী বছরের জুলাই থেকে নতুন ভ্যাট আইন
বাস্তবায়নের কথা রয়েছে। এমন বাস্তবতায় শুক্রবার দেশব্যাপী পালিত হবে জাতীয়
ভ্যাট দিবস।
ব্যবসায়ী
ও ভোক্তাদের সচেতন করার লক্ষ্যে ৫ম বারের মত দেশব্যাপী ২০১১ সাল থেকে
প্রতি বছরের ১০ জুলাই ভ্যাট দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ১০ জুলাই
থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেশব্যাপী ভ্যাট সপ্তাহ পালন করা হয়। এবারের ভ্যাট
দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সময়মত মূসক দেব, দেশগড়ায় অংশ নেব।’
বৃহস্পতিবার রাজস্ব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে ভ্যাট দিবস নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।
ভ্যাট
দিবস উপলক্ষ্যে সকালে রাজস্ব বোর্ডের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালী বের হবে।
এর পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভ্যাট দিবসের আলোচনা
অনুষ্ঠিত হবে। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ
উপস্থিত থাকবেন। এ অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও
ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয়া হবে।
সংবাদ
সম্মেলনে জানানো হয়, ভ্যাট দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও
সড়কদ্বীপে ভ্যাট দিবসের বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার,
বিলবোর্ড, ফেস্টুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। গণমাধ্যমে এ উপলক্ষ্যে ক্রোড়পত্র
প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার বাইরের সাতটি কমিশনারেটেও (চট্টগ্রাম সিলেট,
কুমিল্লা, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও যশোর) ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ
উপলক্ষ্যে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচী পালন করা হবে।
এ
দিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বানীতে কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক
উন্নয়নে সরকারকে সর্বোতভাবে সহযোগিতা করতে সর্বস্তরের করদাতাদের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন।