পরমাণু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্যসহ বিশ্বের শক্তিধর ছয় রাষ্ট্রের চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে বার্তা পাঠিয়ে এ তথ্য জানায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পরমানু ইস্যুতে ইরানের সঙ্গে জাতিসংঘসহ বিশ্বের ছয় রাষ্ট্র ঐক্যমতে পৌঁছে চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনা ইতিবাচক। বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, এ চুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য এবং বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা হবে। পাশাপাশি যে কোনো বিরোধ নিষ্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে সংলাপ অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সহায়তা করবে। জানা গেছে, এক বিবৃতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরকে ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ)। চুক্তি অনুযায়ী, পরমাণু সমৃদ্ধকরণ হ্রাসে সম্মত হয়েছে ইরান। বিপরীতে দেশটির ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে উঠিয়ে নেওয়া হবে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গত ১৪ জুলাই ইরানের সঙ্গে বিশ্ব পরাশক্তিদের এই ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এর আগে সুইজারল্যান্ডের সুসান শহরে টানা আট দিন আলোচনা শেষে গত ২ এপ্রিল এই চুক্তি স্বাক্ষরে সমঝোতায় পৌঁছায় উভয় পক্ষ। এরও আগে গত ৩১ মার্চসহ বেশ কয়েকবার সমাঝোতার আলোচনা ভেস্তে যায়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর ঘটনাটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্বের নেতৃবৃন্দ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এটিকে ‘উভয় পক্ষের বিজয়’ বলে উল্লেখ করেন। তবে ইসরাইল এ চুক্তিকে নেতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ইরান তার নাতানাজ পরমাণু প্রকল্পের সেন্ট্রিফিউজ ১৯ হাজার থেকে কমিয়ে ৬ হাজার ১০৪টিতে নিয়ে আসবে। দেশটি আগামী ১০ বছরের মধ্যে পরমাণু সমৃদ্ধকরণের উদ্দেশে নতুন কোনো চুল্লি নির্মাণ করবে না বলেও সম্মত হয়েছে।