ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সন্তোষজনক নয় : অর্থমন্ত্রী

S M Ashraful Azom
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, মাত্র ৬০ হাজার প্রতিষ্ঠান মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট দেয়। যারা ভ্যাট দেয়ার উপযুক্ত তাদের ধারে কাছেও নেই এ সংখ্যা। এটি মোটেও সন্তোষজনক নয়। অন্তত ৩ থেকে ৪ লাখ প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভ্যাটদাতাদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাট মোটেও জনপ্রিয় কর নয়। এমনকি কোনো করই জনপ্রিয় নয়। তবে আমার নিজস্ব মতামত হলে, ভ্যাট সবচেয়ে ভাল কর। যদি হিসাব-নিকাষ ঠিকভাবে রাখা যায়। পণ্যে যতটুকু মূল্য সংযোজন করা হবে তার ওপরই কর দিতে হবে।’

আরো অধিকসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ভ্যাটের আওতায় আনা সম্ভব হলে বেশি মানুষকে সুবিধা দেয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। এ জন্য ভ্যাট আদায়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এনবিআরের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ও এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৮ লাখ টিআইএনধারী থাকলে ১১ লাখ রিটার্ন জমা দেন। ক্রয়ক্ষমতা ও বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে যা অপ্রতুল। বর্তমানে গ্রামগঞ্জে কর দেয়ার মতো অনেক মানুষ রয়েছে। তাদের টিআইএন নম্বর দিয়ে কর আদায় করা গেলে রাজস্ব আদায় বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, কর প্রদান প্রক্রিয়া সহজবোধ্য করলে ফাঁকি কমবে। ভ্যাট ব্যবস্থাপনা অটোমেশনের পাশাপাশি ভ্যাটদাতা প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিদেরও প্রশিক্ষিত করতে হবে। তা না হলে যে উন্নতি আশা করছি সেটা হবে না।

এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদ বলেন, সঠিকভাবে ভ্যাট আদায় সম্ভব হলে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই বাজেট করা সম্ভব। তখন আর বৈদেশিক উৎসের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ভ্যাট খাতের নির্ভরতা ক্রমশই বাড়ছে। এ খাত থেকে আরো বেশি রাজস্ব আদায় করতে হলে সেবার মানসিকতা নিয়ে কর কর্মকর্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। যাতে মানুষ নির্ভয়ে কর দিতে পারে।
ভ্যাট হার সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে পারবেন না। এ ধরনের ব্যবসায়ীর জন্য হ্রাসকৃত হারে ভ্যাট নির্ধারণ জরুরী। পাশাপাশি ভ্যাট অব্যাহতির সর্বনিম্ন সীমা ৩০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩৬ লাখ এবং সর্বোচ্চ সীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে দেড় কোটি টাকা করার আহ্বান জানান তিনি।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top