চূড়ান্ত
বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ২ শতাংশ কমানো হয়েছে। ফলে মোবাইল
ফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, ক্ষুদেবার্তা প্রেরণের (এসএমএস) ক্ষেত্রে
খরচ কিছুটা কমল। প্রস্তাবিত বাজেটে এ ধরনের সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫
শতাংশ করা হলেও অর্থবিল পাস করার সময় অর্থমন্ত্রী এটি ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ
কমানোর কথা বলেন।
বাজেটের
আগে মোবাইল ফোন সেবার ওপর কেবল ১৫ শতাংশ ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আরোপ
ছিল। ৪ জুন বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ওপর আরো ৫ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপের
প্রস্তাব করেন। এর পর দিন থেকেই মোবাইল ফোনের এ ধরনের সেবার ওপর বাড়তি ৫
শতাংশ টাকা গুণতে হচ্ছিল গ্রাহকদের। অর্থাত্ ১০০ টাকার কথা বললে খরচ করতে
হতো ১২০ টাকা। তবে ২ শতাংশ কমায় বর্তমানে মোবাইল ফোনে ১০০ টাকার সেবার
বিপরীতে খরচ হবে ১১৮ টাকা।
বাজেটে
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর বাড়তি এ ভ্যাট আরোপের ফলে নিম্ন আয়ের একজন
মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ওপরও নতুন করের ভার পড়ল। অর্থনীতিবিদরাও এ
সিদ্ধান্তটির সমালোচনা করেন। সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদও বাড়তি
সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানান।
দেশে
বর্তমানে সরকারি টেলিটক ছাড়াও গ্রামীণ ফোন, বাংলালিংক, রবি অজিয়াটা ও
এয়ারটেল মোবাইল ফোন সুবিধা দিচ্ছে। মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর
তথ্যানুযায়ী—দেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২
কোটি। অবশ্য প্রকৃত ব্যবহারকারী এর চেয়ে কম হবে।