রাফায়েল নাদাল হামবুর্গে চলমান জার্মান ওপেনের শেষ আটে পা রেখেছেন। ৫০০ পয়েন্টের এই ক্লে কোর্ট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় রাউন্ডে নাদাল ৬-৪, ৭-৬(২) গেমে হারিয়েছেন জিরি ভেসিলিকে। সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে তিনি মুখোমুখি হবেন পাবলো কিউভাসের।
নাদাল সর্বশেষ এই টুর্নামেন্ট খেলেছিলেন ২০০৮ সালে। ঐ আসরের ফাইনালে রজার ফেদেরারকে হারিয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি। উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেনের মাঝামাঝি সময়ে হয় বলে, মাটির কোর্টের এই টুর্নামেন্টে এরপরে আর খেলা হয়নি তার।
বিগ ফোরের বাকি তিন সদস্য যখন ব্যস্ত হার্ড কোর্ট টুর্নামেন্ট খেলতে, রাফায়েল নাদাল তখন ইউরোপে খেলছেন ক্লে কোর্টে। বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্লাম ইউএস ওপেনের প্রস্তুতি না নিয়ে নাদালের জার্মানির হামবুর্গে খেলার কারণ বুঝতে সমস্যা হয় না। বাজে ফর্মের ধারা ভেঙ্গে বেরোতে এই স্প্যানিয়ার্ড আস্থা রাখছেন সবচেয়ে প্রিয় কোর্টের উপর।
উইম্বলডনের সর্বশেষ আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডেই ডাস্টিন ব্রাউনের কাছে হেরে যাবার পর নাদাল নিজেকে ফিরে পেতে বেছে নিয়েছেন তাই মাটির কোর্টকেই। প্রথম রাউন্ডে স্বদেশী স্প্যানিয়ার্ড ফার্নান্দো ভারদেসোকে হারানো নাদাল টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক আগে ওয়াইল্ড কার্ড নিয়ে অংশ নেন ৫০০ পয়েন্টের এই টুর্নামেন্টে। গত প্রায় দশ বছরের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সর্বনিম্ন দশম স্থানে পৌঁছানো নাদাল চলতি টুর্নামেন্ট জিততে পারলে পেয়ে যাবেন বেশ কিছু র্যাঙ্কিং পয়েন্টও। মৌসুম শেষের এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে খেলতে হলে যেগুলো রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
এই জয়টি ছিল চলতি মৌসুমে ক্লে কোর্টে তার ২৩তম জয়, বিপরীতে হেরেছেন ছয় ম্যাচ। ৪৬ তম ক্লে কোর্ট শিরোপার দিকে আরেকধাপ এগোতে পেরে দারুণ খুশি ১৪ বারের এই গ্র্যান্ড স্লামজয়ী, ‘আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ জিতেছি আমি। অবশ্যই নিজেকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে আমার। যেভাবে খেলেছি এবং জিততে যে মানসিকতা দেখানো প্রয়োজন ছিল তাতে দারুণ খুশি আমি। এই মুহূর্তে আমার প্রয়োজন নির্দিষ্ট মানে নিজের খেলাটা ধরে রাখা।’
এদিকে নাদালের কোয়ার্টার ফাইনাল প্রতিপক্ষ কিউভাস এই রাউন্ডে হারান জার্জি জ্যানোউইকজকে। জার্মান ওপেনের ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন জ্যানোউইকজের এটা ছিল মৌসুমের ২৩তম জয়। এই ২৩ জয়ের ২০টিই এসেছে ক্লে কোর্টে। সাওপাওলোতে শিরোপা জেতার পাশাপাশি ইস্তাম্বুলে রানার্স আপ হন জ্যানোউইকজ। এই মৌসুমে এই পোলিশের বিরুদ্ধে এটা হবে নাদালের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ম্যাচে রিও ডি জেনিরোতে তিন সেটের ম্যাচে তিনটিই জিতেছিলেন নাদাল।