রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষীতে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, আরিফ নামের এক সহকর্মী ও তার দুই সহযোগী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে। র্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক কাজী মো. শোয়াইব জানান, শুক্রবার দুপুরে ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে এখনো ধর্ষণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। র্যাব কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘আমরা অভিযোগকারী তরুণীর মেডিকেল প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি।’ এদিকে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি আলী হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে পুলিশ সন্দেহ করছে। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় চারজন ছিল। এখনও একজন বাকি রয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।’ গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কিশোরীটি এ ঘটনার শিকার হন। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী আড়াই মাস আগে উত্তরার রাজলক্ষীতে একটি সুপার শপে সেলসম্যান হিসেবে কাজ শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় ফেরার পথে ওই দোকানেরই কর্মচারি আরিফ ও কয়েকজন মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। কিশোরীর অভিযোগ, দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে আরিফ তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আরিফ পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আরিফসহ কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটির গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জে। সে উত্তরায় ১২ নম্বর সেক্টরে বড় বোনের সঙ্গে থাকতেন।