জানা গেছে, গত বছরের ৯ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলার টিকরকান্দি গ্রামের মিষ্টার আলীর কন্যা খাদিজা আক্তার মীরার (২০) সঙ্গে জেলার ইসলামপুর উপজেলার ফুলকার চর গ্রামের আবদুস সামাদের পুত্র বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য খোরশেদ আলমের কাবিনমুলে বিবাহ হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) আবুল কালাম আজাদ ওই ভূয়া বিবাহটি রেজিস্ট্রি করেন। মীরা ও খোরশেদের মধ্যে বিয়ের পর দাম্পত্য কলহ শুরু হলে বিষয়টি বিজিবির উর্ধ্বতণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন মীরার পরিবার। বিজিবি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সমাধানের জন্য মীরার কাছ থেকে বিয়ের কাবিননামা চান। মীরার পরিবার বিয়ের কাবিননামা মেরুরচর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদের কাছে চাইলে তিনি শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার শামীমুর রহমানের নাম-সীল সংবলিত ভূয়া কাবিননামার নকল সরবরাহ করেন। এই ভূয়া কাবিননামাটি বিজিবি কর্তৃপক্ষের কাছে ধরা পড়ে। এর পর খোরশেদ আলম মীরাকে বিয়ে করে নি বলে তার কর্তৃপক্ষকে জানায়। অবশেষে মীরা ও খোরশেদের সংসার ভেঙে যায়। এ জঘন্য প্রতারণার ঘটনায় ওই দুই কাজীর বিরুদ্ধে ১২ মে ২০১৫ ইং তারিখে জামালপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন খাদিজা আক্তার মীরা।
এদিকে মীরার সঙ্গে প্রতারক বিজিবি সদস্য খোরশেদ আলমের সংসার ভেঙে গেলে প্রতারণার মাধ্যমে আরও ২ টি বিয়ে করে সে। বিষয়টি জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর রাতে ) শ্রীবরদী সরকারি কলেজের সামনে থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে শ্রীবরদী থানায় সোপর্দ করে। শুক্রবার দুপুরে আটককৃত বিজিবি সদস্যকে শেরপুর জেলা আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠায়।