'লন্ডনে তারেককে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বেগম জিয়া' এমন মন্তব্য করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, বিএনপি নেত্রী লন্ডনে নির্বাসন নিয়েছেন। সেখানে বসে বেগম জিয়া তার পুত্র তারেককে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।
মন্ত্রী আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তিন তলায় স্বাধীনতা হলে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক প্রতিনিধি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শাজাহান খান শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, সংলাপ করতে হলে সুষ্ঠু মানসিকতা সম্পন্ন দল দরকার । আদৌ বিএনপি কোন সুষ্ঠু মস্তিস্কের দল নয়। এই দলটি পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। ট্রেনের বগী লাইনচ্যুত করে। বাসে আগুন দিয়ে হেলপার ড্রাইভার হত্যা করে। মানুষ হত্যাকারীদের সহায়তা দেয়। তাদের সাথে কিসের সংলাপ। তারা আবার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করতে চায়।
শাজাহান খান বলেন, বেগম জিয়া হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ পুড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন। কোনটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা কোনটি সন্ত্রাসী আন্দোলন তিনি তা বোঝেন না। তিনি বলেন, বেগম জিয়া বলেছিলেন ‘বিজয় না হওয়া পর্যন্ত তিনি ঘরে ফিরে যাবেন না’। তিনি বিজয়ীর বেশে নয়, আমাদের আন্দোলনের কারনে তিনি পরাজিত সৈনিকের মতো ঘরে ফিরে গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, অঙ্কে সূত্র আছে, ঠিক তেমনি রাজনীতিরও সূত্র আছে। সূত্র না মিললে যেমন অঙ্ক হয় না, ঠিক তেমনি রাজনীতির সূত্র না মিললে রাজনীতি এলোমেলো হয়ে পরে। বেগম জিয়ার রাজনৈতিক সূত্র মেলেনি। তাই তার রাজনীতি এলোমেলো হয়ে গেছে। তিনি বলেন, বেগম জিয়া স্বেচ্ছায় লন্ডনে নির্বাসিত হয়েছেন। মনে হয় তিনি আর ফিরবেন না। মনে হয় তার ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। বেগম জিয়ার জানা উচিত তার কোন ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
শাজাহান খান বলেন, জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে শ্রমিক, কর্মচারি, পেশাজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত সমন্বয় পরিষদের নেতা-কর্মীরা অতন্ত্রপ্রহরী হিসেবে কাজ করবে। যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাদেরকে বাংলার জনগণ কখনও ক্ষমা করবে না।
শাজাহান খান বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে আমাদের সকলকে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। কোন অপচেষ্টাই আমাদের উন্নয়নের গতিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব আব্দুল মালেক মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান করিম আহম্মেদ খান, শ্রমিক নেতা এ জেড কামরুল আনাম, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের সিবিএ সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ। প্রতিনিধি সভায় ৫০টি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ও সহ প্রতিনিধিরা উপস্থিাত ছিলেন।