যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য রেকর্ড সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, 'এই রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী মেধা অর্জনের একটি গল্প।'
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক ওপেন ডোরস রিপোর্ট অন ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এক্সচেঞ্জ এর প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৪-২০১৫ সালে রেকর্ড ৫,৪৫৫ জন্য বাংলাদেশি উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যুক্তরাষ্ট্রে গেছে। এই সংখ্যা ২০০৯-২০১০ সালের চেয়ে দ্বিগুণ (২,৬১৯ শিক্ষার্থী) যা চার বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে (যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪-২০১৫ সালে ১৩.৬ শতাংশ বৃদ্ধি)।
বার্নিকাট বলেন, 'বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করার সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হওয়া অ্যালামনাইদের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব দেখতে পাই।' এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অধ্যাপক এবং উপাচার্যদের জ্ঞান বাংলাদেশের লাখো শিক্ষার্থীর কাজে আসবে।
এই রিপোর্টে আরো জানানো হয়, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ২০১৪-১৫ সালে আগের বছরের চেয়ে দশ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় দশ লাখের কাছাকছি ৯,৭৪,৯২৬ জন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দফতরের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক দফতর এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে প্রতিবছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে এডুকেশন ইউএসএ'র মাধ্যমে বিভিন্ন সহায়তা পেয়ে থাকে। আমেরিকান সেন্টার ঢাকা (বারিধারা), দ্য এডওয়ার্ড এম. কেনেডি সেন্টারে (ইএমকে) এবং চট্টগ্রামের আমেরিকান কর্নারে (চট্টগ্রাম ইন্ডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে পরামর্শ কেন্দ্রে চালু করা হয়েছে। পরামর্শদাতারা ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে খুলনা, রাজশাহী এবং সিলেটে আমেরিকান কর্নার লাইব্রেরিতেও পরামর্শ প্রদান করছে।
২০১৫ সালের আগস্ট থেকে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে শুরু করে যার বর্তমান অনুসারী ৬০,০০০! এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজটির পঁচিশ লাখেরও বেশি অনুসারী রয়েছে।
আরো তথ্য জানতে পারেন এই ওয়েবসাইটে : educationusa.state.gov

