মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শিয় স্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন সংক্রান্ত সহিংসতা রাতারাতি দূর করা যাবে না। সহিংসতাবিহীন ভবিষ্যত নির্বাচনের স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে শান্তির দূতরা সমাজে ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়িস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের কনভেনশন হলে রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতৃত্বের সঙ্গে পিপলস এগেনেস্ট ভায়োলেন্স ইন ইলেকশন (পেভ) এবং পিস অ্যাম্বাসেডর (শান্তির দূত) সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
হাঙ্গার প্রোজেক্ট,ইউএসএআইডি, ইউকেএআইডি ও জিইএলএসএসডি যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশে ‘হাঙ্গার প্রোজেক্টের’ কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার। অনুষ্ঠানে পিস অ্যাম্বাসেডরদের উদ্দেশে বার্নিকাট বলেন, 'নির্বাচনী সহিংসতার শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইউএসএআইডি’র মাধ্যমে আপনাদের পাশে রয়েছে এবং থাকবে।' দেশের ৪টি বিভাগের ১৮টি জেলার ২৮টি উপজেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ‘পিস এ্যাম্বাসেডরা’ অহিংসার বাণী প্রচার করছেন।
পারস্পরিক আস্থা ও সম্মান অর্জন করতে ভিন্নমতের প্রতি সহনশীলতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বর্নিকাট বলেন, 'আমাদের পৃথিবীর মানুষগুলোকে বুঝতে পারলে আমরা আরও ভালো প্রতিনিধি হতে পারবো।'
মার্কিন রাষ্ট্রদূত কূটনীতিক হিসেবে তার কাজের ধরন সম্পর্কে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে পরস্পর বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় করাই তার প্রধান কাজ।
তিনি বলেন, 'এটা দেখে আমি আনন্দিত যে, কার্যকর উপায়ে সমস্যা ও বিতর্কের সমাধান করতে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় এবং জাতিগত ভিন্নতা ছাড়িয়ে আপনারা আপনাদের গোষ্ঠীগুলোর কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন।' দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পিচ এ্যাম্বাসেডরদের মধ্যে কুমিল্লার আফরোজা কুলসুম, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের সাইদ মেহেদি, রাজশাহীর সাইফুল ইসলাম প্রমুখ এ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
জি এম কাদের বলেন, গণতন্ত্র চর্চার মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সম্ভব। কেবলমাত্র গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমেই মানুষের মাঝে দায়বদ্ধতার চেতনা জাগ্রত করা যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন। জি এম কাদের বলেন, 'নির্বাচনে সহিংসতা বন্ধ করা গেলে দেশ একধাপ এগিয়ে যাবে। আর সহিংসতা দমনের মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে।' সম্মেলনে ৪টি বিভাগের ১৮টি জেলার ২৮টি উপজেলার পিচ এ্যাম্বাসেডররা উপস্থিত ছিলেন। বাসস।