আন্দোলনরত নন এমপিও ক্যাটাগরির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। একইসঙ্গে অনতিবিলম্বে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার দাবিও জানায় দলটি।
রবিবার সন্ধ্যায় বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ দাবি জানান।
রিপন বলেন, গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দেশের নন এমপিও ক্যাটাগরির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ তাদের ন্যায্য আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার বিষয়টির প্রতি মোটেই সহানুভুতিশীল বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- বাজেট বাড়ানো ছাড়া নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। শিক্ষামন্ত্রীর বাজেটের অজুহাত মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা আমরা দেখছি প্রতি বছর বাজেটের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে সরকার অনেক কিছুই করে থাকেন। বাজেটের পরও ভ্যাট ও কর বসিয়ে উন্নয়ন বাজেট বাড়ায়, কমায়ও।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ফ্লাইওভারে ২ হাজার কোটি টাকার কাজ ছয় হাজার কোটি টাকা হয়ে যায়। রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প ২০ হাজার কোটি টাকা থেকে লাখ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এভাবে ভুতুড়ে ব্যয় বৃদ্ধির নামে হাজার লাখ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যায়। অথচ জনস্বার্থের কাজে, শিক্ষকদের দাবি ও পাওনা পরিশোধে মাত্র কয়েকশ’ কোটি টাকার সংস্থান করতে পারে না সরকার। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন-শিক্ষকদের মর্যাদা সবার উপরে কিন্তু সরকারের আচরণে সে কথা হাস্যকর মনে হয়। সরকার এভাবে শিক্ষকদের অপমান করবেন, এটা কি জাতি মেনে নিতে পারে?
রিপন বলেন, সরকার হঠাৎ করে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হলে পাঠদান করবেন কে? জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষা বছর শুরু হবে, মাধ্যমিক পর্যায়ের নতুন বই দেয়া হবে কিন্তু শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা কার কাছ থেকে পাঠ নেবে?