
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ দ্রুত বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দিতে মার্কিন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্র যে ১৬টি শর্ত দিয়েছিল, তার প্রায় সবগুলোই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। আর জিএসপি সুবিধা ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের এখন ন্যায্য দাবি।
আজ সকালে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সাথে তাঁর বাসভবনে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস এ. শ্যাননের সাক্ষাতকালে বিরোধীদলীয় নেতা এ কথা বলেন।
সাক্ষাতে বেগম রওশন এরশাদ বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিনের পরিক্ষীত বন্ধু। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করে আরো এগিয়ে যেতে চায়। তিনি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবছর জলবায়ুর পরির্বতনে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর ক্ষতির হাত থেকে বাংলাদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে রক্ষা করার জন্য সম্প্রতি প্যারিসে অনুষ্ঠিত জলবায়ু সম্মেলনের ঐতিহাসিক চুক্তির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন দরকার। বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরন করে জলবায়ু সহনশীল পর্যায়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।
থমাস শ্যানন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে জিএসপি সমস্যা সমাধানের জন্য আন্তরিক। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি রোধে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে ফখরুল ইমাম এমপি, বিরোধীদলীয় হুইপ সেলিম উদ্দীন এমপি, রওশন আরা মান্নান এমপি, দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনপ্রিত সিং আনন্দ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট উপস্থিত ছিলেন।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।