তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারকে হত্যার পর যে সাড়ে ১২ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।সোমাবর সকালে রাজধানীর মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা সংগঠিত করার দায়ে ১৯৭২ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়েছিল। সে সময় সাড়ে ১২ হাজার যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু হয়। অথচ জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের মাধ্যমে পরবর্তীতে ওই সাড়ে ১২ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ১৯৭২ সালের দাবি অনুযায়ী সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে হবে। কেননা, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা দরকার। অপরাধীদের ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা উচিৎ। জিয়া যে সব যুদ্ধাপরাধীকে কারাগার থেকে ছেড়ে দিয়েছিলেন, তাদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করা এখন সময়ের দাবি।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ন্যাক্কারজনকভাবে জাতিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত করা হয়। যুদ্ধের সবচেয়ে ঘৃন্য কৌশল হিসেবে দেশের শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীদের দোসর হিসেবে যারা এ কাজ করেছিল, তাদের মধ্যে শীর্ষ একজনের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে।

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।