সেবা ডেস্ক: ভারতের পাঞ্জাবে বিমানঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাকিস্তানের ওপর কূটনৈতিক চাপ অব্যাহত রেখেছে ভারত। ভারত জানিয়েছে, পাঠানকোটের বিমান ঘাঁটিতে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কার্যকর ব্যবস্থা নিলেই কেবল দেশটির সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিত আলোচনা এগুবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বল এখন পাকিস্তানের কোর্টে। তাই তাদের প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু। আগামী সপ্তাহে ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবদের ইসলামাবাদে বৈঠক হওয়ার কথা।
পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের পাঞ্জাবের পাঠানকোটে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর চার দিনের সেনা অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়েছে। গত শনিবার জঙ্গিরা সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বিমান ঘাঁটিতে ঢুকে আবাসিক কোয়ার্টারে হামলা চালায়।
নরেন্দ্র মোদীর আকস্মিক পাকিস্তান সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়েছিল। মোদী ও নওয়াজ শান্তি আলোচনা শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই শান্তির পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল পাঠানকোটে জঙ্গি হামলা।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরুপ বলেন, পাকিস্তানের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার ও অপরিবর্তিত আছে। আমরা পাকিস্তানসহ আমাদের প্রাতবেশী দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। তবে ভারত আন্ত-সীমান্ত সন্ত্রাসকে বরদাশত করবে না।
পাঠানকোটে জঙ্গি হামলার পর নওয়াজ শরিফ মোদীকে টেলিফোন করলে মোদী তাকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। নওয়াজ মোদীকে দ্রুত ও বিচক্ষণ পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।
ভারত সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলার ব্যাপারে ভারত পাকিস্তানকে সুনির্দিষ্ট ও কার্যকর তথ্য দিয়েছে। কাশ্মীরের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর জোট ইউনাইটেড জিহাদ কাউন্সিল (ইউজেসি) জানায়, তারা এই হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের কাশ্মিরভিত্তিক এই জোটের নেতৃত্বে আছেন হিজব উল মুজাহিদিনের নেতা সালাহউদ্দিন।
তবে ভারতের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা এই হামলার পেছনে আছে জয়শ-ই- মোহাম্মদ। ভারতের দাবি এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে পাকিস্তান সরকার মদদ দেয়। কিন্তু পাকিস্তান ভারতের দাবি অস্বীকার করে আসছে। বিবিসি

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।