সেবা ডেস্ক: রিজার্ভ অর্থ চুরির সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি কম্পিউটার থেকে মিসরের তথ্য পাঠানো হয়েছিল। পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে সম্প্রতি এ বিষয়টি উঠে আসে। সম্প্রতি এ খবরটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল পোস্ট। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা শাহ্ আলমের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, রিজার্ভ চুরির দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটার সার্ভার থেকে সাত ঘণ্টারো বেশি সময় ম্যালওয়ারের মাধ্যমে মিসরে তথ্য পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল। এর আগে, ৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়। এঘটনার ৪০ দিন পর মতিঝিল থানায় একটি মামলা হলে এর তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডিকে। ওই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা এখন জানার চেষ্টা করছি, যে কম্পিউটারে তথ্য পাঠানোর চেষ্টা হয়েছিল, সেটার আইপি ঠিকানায় কার কাছে তথ্যটি পাচার করা হয়েছে। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মিসরের ওই কম্পিউটারটি তৃতীয় কোন দেশ থেকে হ্যাক করে তথ্যগুলো লিক করা হয়। তবে এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, মিসরে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে তথ্য পাঠানোর বিষয়ে আমার জানা নেই।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।