সেবা ডেস্ক: ফেনীতে ১২ বছরের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষক। আহত শিক্ষার্থীর নাম আরিফ। বর্তমানে সে ফেনী ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যন্ত্রনায় ছটফট করছে। অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ, হাসপাতাল ও শিশুটির বাবার কাছ থেকে জানা গেছে, ফেনী শহরের পাগলামিয়া সড়কের মিসবাহুল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ এর হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম শুক্রবার বাড়ী যাওয়ার জন্য তার শিক্ষক মোঃ মোশারফ হোসেনের কাছে ছুটি চাইতে গেলে শিক্ষক ছুটি দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে। সে আবার ছুটি চাইলে তাকে ধরে ক্রিকেট ব্যাট ও প্যাড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তারপর তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। তারপর আরিফকে তাকে পিটিয়ে আহত করার বিষয়ে কাউকে না জানানোর জন্য বলেন মোশারফ হোসেন। কাউকে জানালে তাকে আবার পিটানো হবে বলে শাসিয়ে দেয়।
শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের বাবা মোঃ এয়াকুব নবী শনিবার বিকেলে ফেনী মিসবাহুল কুরআন ওয়াস্ সুন্নাহ মাদ্রাসায় যায়। ছেলেকে দেখে চলে আসার সময় তার ছেলে আরিফ দৌড়ে এসে তার বাবাকে তাকে পিটিয়ে আহত করার বর্ণনা দেন। তার বাবা শুনে তাকে দ্রুত ফেনী ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ এয়াকুব নবী তার ছেলেকে যে শিক্ষক পিটিয়ে আহত করেছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
ফেনী সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ আমিরুল আলম জানান, এভাবে একটা ছোট ছেলেকে কোন শিক্ষক প্রহার করা খুবই অন্যায়। শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ফেনী ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ছারওয়ার জাহান বলেন, রোগীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে চিকিৎসা নিলে সে ভালো হয়ে যাবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।