
জানা গেছে, উপজেলায় ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৭০টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ও ১০৫টি বিদ্যালয়ে ১৩৪ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এসব স্কুলে লেখাপড়ার মান ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যা মোট জনসংখ্যার শতভাগ শিক্ষার আওতায় আনার পথে অন্তরায়।
শিক্ষা অফিস জানায়, ২০১১ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের শতকরা ৩৫ ভাগ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। বাকি ৬৫ শতাংশ পূরণ করা হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির মাধ্যমে।
অভিভাবকরা জানায়, অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষরাই প্রধান শিক্ষক হচ্ছেন। তারাই শুধু ক্লাসের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পাঠদান করে থাকেন। যার দরুন শিক্ষার্থীরা দক্ষ শিক্ষকের পাঠ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া প্রধান শিক্ষককের অফিস কাজ সম্পন্ন করতে একাধিক শিক্ষককে সময় দিতে হচ্ছে। এতে ক্লাসের পাঠদান কার্যক্রমে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে সদ্য সরকারিকরণ হওয়া বিদ্যালয়গুলোতে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এসব কারণে মুরাদনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএনএম মাহবুব আলম বলেন, ‘মৃত্যু, অবসরজনিত কারণ ও অনেক দিন ধরে পদোন্নতি বন্ধ থাকায় শূন্য পদ সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের শূন্য পদের তালিকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই সমস্যা আর থাকবে না। আশা করি দ্রুত এর সমাধান হবে।’ ইত্তেফাক.