সেবা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কেবল একটি রাজনৈতিক দল না, একটি প্রতিষ্ঠান। দলের নেতাদের দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সুবিধা-অসুবিধা সরকারের কাছে পৌঁছে দেওয়া। সরকারকে মানুষের সমস্যার কথা জানানো।
শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের প্রেসিডিয়ামের প্রথম বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এখন আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ এবং এই দেশের মানুষ যেন আবারো মাথা উচু করে চলতে পারে এটাই আমরা চাই।
২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোটের দুঃশাসনে কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর এদেশে হত্যা ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়। জিয়াউর রহমান এবং পরে, বিএনপি জামায়াতের একটাই উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা নস্যাৎ করা। আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করেছে।
গত ২২ ও ২৩ অক্টোবর দলের সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি অত্যন্ত সফল সম্মেলন হয়েছে, এই সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিরা এসেছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাদের উন্নয়ন ও আর্থ সামাজিক অবস্থার প্রশংসা করেছেন।
২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সূচনা বক্তব্যের পর তার সভাপতিত্বে নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফর উল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীষুষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, রমেশ চন্দ্র সেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দাপ্তরিক কাজের জন্য দলের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন না। সৈয়দ আশরাফের স্ত্রী অসুস্থ থাকায় শুক্রবার তিনি যুক্তরাজ্য গেছেন।