কাজী খোরশেদ আলম,বুড়িচং: শিক্ষা মানুষের সংবিধান স্বীকৃত মৌলিক অধিকার। প্রাথমিক শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বলা হয়: কয়েকটি মৌলিক বিষয়ে এক ও অভিন্ন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সব ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বাধ্যতামূলক করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দীপ্ত করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর দেশাত্ববোধের বিকাশ ও দেশ গঠনমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করা, শিশু মনে ন্যায়বোধ,কর্তব্যবোধ, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টি ভঙ্গি, মানবাধিকার, কৌতূহল, প্রীতি, সৌহার্দ্য, অধ্যবসায় ইত্যাদি নৈতিক ও আত্মিক গুনাবলি অর্জনে সহায়তা করা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিমনষ্ক করা এবং কুসংস্কারমুক্ত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে উৎসাহিত করা, শিক্ষার্থীকে জীবনযাপনের জন্য আবশ্যকীয় জ্ঞান, সামাজিক সচেতনতা অর্জন, পরবর্তী স্তরে শিক্ষা লাভের উপযোগী করে গড়ে তোলার সব ধরনের প্রতিবন্ধীসহ সুযোগ সুবিধাবঞ্চিত ছেলে-মেয়েদের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টির লক্ষে ব্যবস'া গ্রহন করা।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি উত্তর পূর্ব পাড়ায় পূর্ণমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অর্ধযুগ ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার ছেলে-মেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
স'ানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ণমতি উত্তর পূর্ব পাড়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) কুমিল্লা এবং কোরিয়া আর্ন্তজাতিক সহযোগী সংস'া (কোইকা) অর্থায়নে ২০১০ইং সালে কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০১২ সালে ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়। তার ২০১৩ ইং সালে বিভিন্ন শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শ্রেনী কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩ মাস ক্লাশ চলার পর সমিতির সদস্যদের আভ্যন্তরীন দ্বন্ধের ফলে স্কুলের কার্যক্রম স'গিত হয়ে যায়। বহু দেন-দরবারের পর ২০১৪ ইং সালে আবার শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করে ৫ মাস চলার পর আবার সভাপতি ইস্রাফিল ও সেক্রেটারী করিম মাষ্টার এবং সদস্য আবুল খায়েরের মধ্যে অর্থের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে নতুন করে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় আবার স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। ইস্রাফিল স্কুলের নামের ভবন সংলগ্ন ৫ শতক জায়গা নিজে দখল করে নিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরোও জানান, এই এলাকার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে লেখাপড়া করার জন্য বিদ্যালয়টি চালু করার একান্ত প্রয়োজন। পূর্ণমতি বাজার সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরত্বের কারণে ঐ বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
এ অবস'ায় চলতে থাকলে পূর্নমতি গ্রামের প্রায় ২ হাজার অধিক ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পরবে। ধ্বংস হবে বর্তমানে সরকারের শিক্ষা কার্যকমের মূল লক্ষ্য।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পূর্ণমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ রয়েছে। ভবনের জালানার গ্লাসগুলো ভাঙ্গা রয়েছে এবং অফিস সরঞ্জামগুলো ভাঙ্গাচূড়া ও এলোমেলো অবস'ায় রয়েছে।
স্কুলটি বিষয়ে পূর্নমতি উত্তর পূর্ব পাড়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল মহুরীর সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও খুব ব্যস্ততা দেখিয়ে পাশ কেটে যায়।
এই ব্যাপারে বুড়িচং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম বলেন,স্কুলটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। স্কুলটি চালু করতে সব রকমের সহযোগীতা করতে প্রস'ত আছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম মুন্সী বলেন, এই বিদ্যালয়টি আমাদের আওতাভূক্ত না। তবে বিদ্যালয়টি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে কোন করণীয় থাকলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া গ্রহন করব।
উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা যায়, সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক হোসেন মোর্শেদের আন্তরিকতার অভাবে স্কুলটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প (সিভিডিপি) প্রকল্পের বুড়িচং উপজেলা অফিসটি বন্ধ থাকার কারণে সহকারী প্রকল্প পরিচালক হোসেন মোর্শেদ সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি উত্তর পূর্ব পাড়ায় পূর্ণমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অর্ধযুগ ধরে তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ২ হাজার ছেলে-মেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত রয়েছে।
স'ানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ণমতি উত্তর পূর্ব পাড়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর উদ্যোগে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এবং বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বার্ড) কুমিল্লা এবং কোরিয়া আর্ন্তজাতিক সহযোগী সংস'া (কোইকা) অর্থায়নে ২০১০ইং সালে কার্যক্রম শুরু হয়ে ২০১২ সালে ভবন নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়। তার ২০১৩ ইং সালে বিভিন্ন শ্রেণী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির মাধ্যমে শ্রেনী কার্যক্রম শুরু হয়ে ৩ মাস ক্লাশ চলার পর সমিতির সদস্যদের আভ্যন্তরীন দ্বন্ধের ফলে স্কুলের কার্যক্রম স'গিত হয়ে যায়। বহু দেন-দরবারের পর ২০১৪ ইং সালে আবার শ্রেণী কার্যক্রম শুরু করে ৫ মাস চলার পর আবার সভাপতি ইস্রাফিল ও সেক্রেটারী করিম মাষ্টার এবং সদস্য আবুল খায়েরের মধ্যে অর্থের ভাগভাটোয়ারা নিয়ে নতুন করে ঝামেলা সৃষ্টি হওয়ায় আবার স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। ইস্রাফিল স্কুলের নামের ভবন সংলগ্ন ৫ শতক জায়গা নিজে দখল করে নিয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে আরোও জানান, এই এলাকার কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতে লেখাপড়া করার জন্য বিদ্যালয়টি চালু করার একান্ত প্রয়োজন। পূর্ণমতি বাজার সংলগ্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরত্বের কারণে ঐ বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করা খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে।
এ অবস'ায় চলতে থাকলে পূর্নমতি গ্রামের প্রায় ২ হাজার অধিক ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পরবে। ধ্বংস হবে বর্তমানে সরকারের শিক্ষা কার্যকমের মূল লক্ষ্য।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পূর্ণমতি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি তালাবদ্ধ রয়েছে। ভবনের জালানার গ্লাসগুলো ভাঙ্গা রয়েছে এবং অফিস সরঞ্জামগুলো ভাঙ্গাচূড়া ও এলোমেলো অবস'ায় রয়েছে।
স্কুলটি বিষয়ে পূর্নমতি উত্তর পূর্ব পাড়া সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল মহুরীর সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও খুব ব্যস্ততা দেখিয়ে পাশ কেটে যায়।
এই ব্যাপারে বুড়িচং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহ আলম বলেন,স্কুলটি দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। স্কুলটি চালু করতে সব রকমের সহযোগীতা করতে প্রস'ত আছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সেলিম মুন্সী বলেন, এই বিদ্যালয়টি আমাদের আওতাভূক্ত না। তবে বিদ্যালয়টি চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষন করছি। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে খোঁজ-খবর নিয়ে কোন করণীয় থাকলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস'া গ্রহন করব।
উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা যায়, সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্পের সহকারী পরিচালক হোসেন মোর্শেদের আন্তরিকতার অভাবে স্কুলটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প (সিভিডিপি) প্রকল্পের বুড়িচং উপজেলা অফিসটি বন্ধ থাকার কারণে সহকারী প্রকল্প পরিচালক হোসেন মোর্শেদ সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
