সেবা ডেস্ক: শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী বয়স নির্ধারন না করে একটি মামলায় দুই শিশুকে কিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি ডিএমপির লালবাগ জোনের ডিসি ও কামরাঙ্গীর চর থানার ওসিকে এ বিষয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শিশু আইনের বিধান অনুযায়ী দেশের জেলা আদালতসূমহে প্রবেশন কর্মকর্তা কেন নিয়োগ দেয়া হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছে আদালত।
এছাড়া ওই দুই শিশুকে আটক কেন বেআইনি এবং ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর ‘লাশের পরিচয় মেলেনি, খুনি সন্দেহে ২ শিশু গ্রেফতার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন চিলড্রেন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারে শিশু দুটির বয়স উল্লেখ করা হয়েছে ১২ বছর। কিন্তু একজনের জন্ম সনদ আমরা আদালতে দাখিল করেছি। সেখানে তার বয়স সাড়ে ৮ বছর উল্লেখ রয়েছে। সেই হিসাবে পুলিশ কিভাবে এই দুটি শিশুকে গ্রেফতার করল তা বোধগম্য নয়। এটা শিশু আইনের লংঘন। আবেদনের পক্ষে আবেদনকারী নিজেই এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস শুনানি করেন।