সেবা ডেস্ক: রাজধানীর মিরপুরে খাল দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খাল দখল করে নির্মাণ কাজ ও মাটি ভরাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।
আদালতের এই আদেশ প্রতিপালন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী ও মিরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া খাল রক্ষায় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাতে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আরএস রেকর্ড অনুসারে ঐ খাল সংরক্ষণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং খাল ভরাট করে যে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা মমতা হাউজিংকে নিজ খরচে অপসারণ করার নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত ২ নভেম্বর ‘ঢাকার আরেকটি খাল মৃত্যুমুখে’ শিরোনমে পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, আগারগাঁও-শ্যামলী লিঙ্করোডের বাংলাদেশ বেতারের পাশ দিয়ে মিরপুরের দিকে চলে গেছে ৬০ ফুট প্রশস্ত সড়ক। এই সড়ক ধরে ৩০০ ফুট এগোলে তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ের নবনির্মিত বহুল ভবন। এর আগেই রাস্তার পাশ দিয়ে চলে গেছে খালটি। কিছু দূর এগিয়ে বামে বাঁক নিয়ে খালটি অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। সেখানে একপাশে তৈরি হচ্ছে ১৭ তলা বিশিষ্ট মমতা বহুমুখী সমবায় সমিতি শপিং কমপ্লেক্স।
ঐ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মনঞ্জিল মোরশেদ। শুনানি শেষে আদালত উপরিউক্ত আদেশ দেয়।
আদালত বলেন, উচ্চ আদালত থেকে অবৈধভাবে খাল দল ও ভরাট কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এরপরও অবৈধ দখল ভরাট কার্যক্রম থেমে নেই। পুলিশ ও প্রশাসন এতো নিষ্ক্রিয় কেন?