এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স'লবন্দর সীমান্ত সংলগ্ন ১১ ডিসেম্বর রবিবার ভারতের ডালু বিএসএফ কিল্লাপাড়া ক্যাম্পে বিএসএফ ও বিজিবি ডিজি পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় তৎকালীন বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধে নিহত ভারতের ৯ বিএসএফ সদস্যের স্মরনে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন মূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, এনডিসি, পিএসসি বাংলাদেশের স্বাধিনতা যুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী বীর বিএসএফ সদস্যদের বিদেহী আত্মার প্রতি স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বিএসএফ কর্তৃক নির্মিত স্মৃতিসৌধে পস্পস্তবক অর্পন করেন।
এসময় ২৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল হাফিজুল ইসলাম খান, বিজিবি’র উত্তর-পূর্ব রিজিয়ন সরাইল এর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার কর্নেল মো. জাকির হোসেন, পিএসসি, ময়মনসিংহ সেক্টর কামন্ডার কর্নেল কাজি অনিরুদ্ধ এবং ভারতের পক্ষে মেঘালয় প্রদেশের বিএসএফ’র আইজি পিকে দাবিই, ডিআইজি শাকটাওয়াট, তুরা কমান্ডের শ্রীভাস্তাবাসহ বিজিবি ও বিএসএফ’র উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরো সোর্হাদ্য বৃদ্ধি করার ব্যাপারে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় ভারতের বিএসএফ এর তৈরী কিল্লাপাড়া ক্যাম্পে একাত্তোরের মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনের ঘটনার উপর একটি ডকুমেন্টারি প্রর্দশন করা হয়। পরে উভয় দেশের সীমান্ত সৈনিকরা নিজেদের মধ্যে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ২৫ মে নাকুগাঁও ও ডালু কিল্লাপাড়ায় পাক হানাদার বাহিনী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। এসময় ভারতের বিএসএফএর ৯ সৈনিক এবং বাংলাদেশের দুই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই ডালু বিএসএফ ক্যাম্পে ৯ জন বিএসএফ স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে তোলে সে দেশের সরকার। তবে বাংলদেশ অংশের ওই স্থানটি আজো অযত্নে ও অবহেলায় পড়ে আছে।
