সেবা ডেস্ক: জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’ মর্মে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আসলে কোনো ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। স্পিকার সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। রাষ্ট্রপতি ও স্পিকার যেভাবে নির্বাচিত হন, সেভাবে ইলেক্টোরাল ভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত যৌথসভায় সূচনা বক্তৃতায় সারাদেশে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা মহানগর ও তার আশপাশের জেলা সমূহের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
আগামী ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি হচ্ছে। প্রতিবারের ন্যায় এবারও দিনটি ‘গণতন্ত্রের বিজয়’ দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দলটি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মাঠ দখলে রাখতে চায়। ঢাকায় দুটিসহ সারাদেশে জেলা, উপজেলায় সমাবেশ করার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাসেল স্কয়ারে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কাছ থেকে কী আমাদের সংবিধানের শিক্ষা নিতে হবে? বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কী সংবিধান অনুযায়ী দেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন? যারা সংবিধানকে পদদলিত করে স্বৈরশাসনের সূচনা করেছিল তাদের মুখে সংবিধানের কথা মানায় না। বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, আপনারা সংবিধান নিয়ে কথা বলবেন না। কারণ আপনারাই সংবিধান রক্তাক্ত ও পদদলিত করেছেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ছিল। তাহলে কেন এই আইন সংশোধন করেনি তারা। কাজেই তাদের মুখে সংবিধানের কথা শুনলে মনে হয় ‘ভুতের মুখে রাম নাম’।