শেরপুর প্রতিনিধি: ডিসেম্বর মাস এলেই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে নতুন করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। নানা দৃশ্যে নানা কারণেই এরুপ মনে হয়। এমনই এক ঘটনা ডিসেম্বর মাস এলেই জাতীয় পতাকা বিক্রির ধুম পড়ে যায়। আর এই জাতীয় পতাকা বিক্রির দৃশ্যটি ধারণ করেছেন আমাদের শেরপুর প্রতিনিধি এম.সুরুজ্জামান।
বাড়ীর ছাদে, বারান্দায়, গাড়ীতে, রিক্সায় এমনকি সাইকেলের সামনেও দুলছে লাল সবুজের পতাকা। ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসকে সামনে রেখে শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলায় পতাকা কেনা-বেচার ধুম পড়ে গেছে। ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতার দল ঘুরে ঘুরে এসব পতাকা বিক্রি করছেন।
বিজয় দিবসের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই স্বাধীনতা প্রিয় বাঙ্গালী জাতির হৃদয়ে নতুন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতানা জাগ্রত হচ্ছে। তাই বৃদ্ধি পাচ্ছে জাতীয় পতাকার চাহিদা। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা এই জাতীয় পতাকা। তাই ছোট, বড়, মাঝারি ও ছোটমনিদের পতাকা স্টিকার বিক্রি করা হচ্ছে। কথা হয় গোপালগঞ্জের ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতা মো. রবিউল ইসলাম (২৫) ও খলিল খাঁন (১৮)’র সাথে। রবিউল ইসলাম গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার পদ্মাকান্দা গ্রামের হামিদ খাঁনের ছেলে। তারা জানায়, ১৭ জন ভ্রাম্যমান পতাকা বিক্রেতা আরও ১০দিন আগেই শেরপুরে এসেছেন।
শেরপুর জেলার ৫টি উপজেলায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করে আসছে তারা। পতাকা বিক্রেতা রবিউল জানান, পতাকা বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় আমাদের বড় উদ্দেশ্য নয়। নতুন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের মূল স্রোতধারার চেতনাকে জাগিয়ে তোলাই আমাদের মূল উদ্দেশ্যে।
