এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে এবার বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমানের বিরুদ্ধে আচরনবিধি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল। ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের চকবাজারস' দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে ওই অভিযোগ করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার সমর্থন পাওয়ার পর থেকেই জেলার ৫ উপজেলা পরিষদ, ৪ পৌরসভা ও ৫২ ইউনিয়নের আওতাধীন ১৫টি ওয়ার্ডে আমার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সু-শৃঙ্খলভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান আমার বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ সাধারণ ভোটার-সমর্থকদের নানাভাবে প্রলোভিত করছেন। এমনকি আমার সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রমতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবং উল্টো আমার বিরুদ্ধে ও নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি ঘোলাকরণের মাধ্যমে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ১১টি অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, নালিতাবাড়ীতে ক্ষমতাধর প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে দলের স্থানীয় দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে এবং মোটর সাইকেল প্রতীকে দেখিয়ে ভোট না দিলে স'ানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে, টিআর ও কাবিখাসহ সমস্ত বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী এলাকায় আরেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে টিআর ও কাবিখার বিনিময়ে ভোট কেনার পায়তাঁরা করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তাছাড়া অভিযোগ করা হয়, ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শ্রীবরদী সদরে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের নামে মাইকযোগে সমাবেশ, ভোটারদের সাথে বিভিন্ন সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে আমাকে জড়িয়ে তীব্র সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য, শ্রীবরদীর সিঙ্গাবরুনা এলাকায় ভোটারদের সামনেই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাসরিন রহমানকে সশস্ত্র হুমকি, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে না যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানাভাবে হুমকি, ভোটারদের মোটা অংকের অর্থসহ নানা উপঢৌকন প্রদানে প্রলুব্ধকরণ, মোটরসাইকেলের সমর্থনে প্রতিদিন শোভাযাত্রা, সমর্থকদের গায়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের রঙিন ব্যাজ পরা ও মোটর সাইকেলের রঙিন প্রতীক সম্বলিত পতাকা বহন করা হচ্ছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনকালে আনারস প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সম্মুখ দিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের শোভাযাত্রার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এমনটিই তাদের আচরণ ও ধরন- যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন'ী। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী রুমানসহ অন্যান্যদের কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নির্বাচনকালে জমা রাখা এবং বিশেষ বিশেষ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। একইসময় ১৫ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে ‘টিআর কাবিখায় ভোট কেনার অভিযোগ হুইপের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, হুইপ আতিক নির্বাচনী কর্মকান্ড থেকে সম্পূর্ণই দূরে অবস'ান করছেন। এছাড়া এখনও টিআর কাবিখার কোন বরাদ্দই তিনি পাননি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম্ মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মোঃ খোরশেদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মজদুল হক মিনু, খন্দকার নজরুল ইসলাম ও ফখরুল মজিদ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম ও এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু, সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম শেলু ও আনোয়ারুল হাসান উৎপল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম জিপি, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ নুরান মনি প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলার কারণেই পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হাসিনার সমর্থন পাওয়ার পর থেকেই জেলার ৫ উপজেলা পরিষদ, ৪ পৌরসভা ও ৫২ ইউনিয়নের আওতাধীন ১৫টি ওয়ার্ডে আমার দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে সু-শৃঙ্খলভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান আমার বিজয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আঁচ করতে পেরে বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যসহ সাধারণ ভোটার-সমর্থকদের নানাভাবে প্রলোভিত করছেন। এমনকি আমার সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের ক্ষেত্রমতে ভয়-ভীতি দেখিয়ে এবং উল্টো আমার বিরুদ্ধে ও নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে দূরে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে পরিস্থিতি ঘোলাকরণের মাধ্যমে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন।
তিনি তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে উল্লেখ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ১১টি অভিযোগ উত্থাপন করে বলেন, নালিতাবাড়ীতে ক্ষমতাধর প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে দলের স্থানীয় দায়িত্বশীল কয়েকজন নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে এবং মোটর সাইকেল প্রতীকে দেখিয়ে ভোট না দিলে স'ানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নামে, টিআর ও কাবিখাসহ সমস্ত বরাদ্দ বাতিল করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী এলাকায় আরেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে টিআর ও কাবিখার বিনিময়ে ভোট কেনার পায়তাঁরা করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। তাছাড়া অভিযোগ করা হয়, ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শ্রীবরদী সদরে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের নামে মাইকযোগে সমাবেশ, ভোটারদের সাথে বিভিন্ন সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে আমাকে জড়িয়ে তীব্র সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্য, শ্রীবরদীর সিঙ্গাবরুনা এলাকায় ভোটারদের সামনেই জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নাসরিন রহমানকে সশস্ত্র হুমকি, বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে না যাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের অস্ত্র প্রদর্শনসহ নানাভাবে হুমকি, ভোটারদের মোটা অংকের অর্থসহ নানা উপঢৌকন প্রদানে প্রলুব্ধকরণ, মোটরসাইকেলের সমর্থনে প্রতিদিন শোভাযাত্রা, সমর্থকদের গায়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের রঙিন ব্যাজ পরা ও মোটর সাইকেলের রঙিন প্রতীক সম্বলিত পতাকা বহন করা হচ্ছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনকালে আনারস প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সম্মুখ দিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের শোভাযাত্রার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এমনটিই তাদের আচরণ ও ধরন- যা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ পরিপন'ী। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী রুমানসহ অন্যান্যদের কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত অস্ত্র নির্বাচনকালে জমা রাখা এবং বিশেষ বিশেষ এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। একইসময় ১৫ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে ‘টিআর কাবিখায় ভোট কেনার অভিযোগ হুইপের বিরুদ্ধে’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, হুইপ আতিক নির্বাচনী কর্মকান্ড থেকে সম্পূর্ণই দূরে অবস'ান করছেন। এছাড়া এখনও টিআর কাবিখার কোন বরাদ্দই তিনি পাননি।
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপসি'ত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র গোলাম্ মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য মোঃ খোরশেদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মজদুল হক মিনু, খন্দকার নজরুল ইসলাম ও ফখরুল মজিদ খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজিমুল হক নাজিম ও এডভোকেট সুব্রত কুমার দে ভানু, সাংগঠনিক সম্পাদক বশিরুল ইসলাম শেলু ও আনোয়ারুল হাসান উৎপল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমির আলী সরকার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবুল কাশেম জিপি, সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুনায়েদ নুরান মনি প্রমুখ।
এ ব্যাপারে বিদ্রোহী প্রার্থী হুমায়ুন কবীর রুমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও হুইপ আতিউর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তোলার কারণেই পাল্টা অভিযোগ করা হচ্ছে।
