সেবা ডেস্ক: অবকাঠামো দুর্বলতা পর্যটন খাতের প্রধান বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা হাঁটি হাঁটি পা করে এগুচ্ছি। গত দুই বছরে ট্যুরিজম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেও এখনো আমরা আন্তর্জাতিক ট্যুরিজমে প্রভাব ফেলতে পারিনি।
রবিবার রাজধানীর মহাখালীতে অবকাশ হোটেলের সম্মেলন কক্ষে অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) আয়োজিত ‘বর্তমান অবস্থায় পর্যটন খাতের ইমেজ পুনরুদ্ধারে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তৃতাকালে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
এটিজেএফবি’র সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের (বিটিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির, পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ, এটিজেএফবি এর সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ও সহ-সভাপতি আলতাব হোসেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, ইমেজ সংকটে শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো বিশ্বই ভুগছে। বার বার শুধু হলি আর্টিজানের দিকে তাকালেই হবে না। সবকিছুর পরও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী বলেন, টুরিস্টদের কনফিডেন্স ডেভলপ করার একমাত্র মাধ্যম হলো মিডিয়া। এক্ষেত্রে মিডিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ই-ভিসা হলে ভিসা প্রক্রিয়ার অনেক কিছুই সমাধান হবে বলে জানান তিনি। পার্বত্য অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশে শিথিলতা আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের তিনটি পার্বত্য অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে একটু জটিলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে শিথিলতা আনতে হবে।
তিনি বলেন, পর্যটন সেক্টরের সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে গার্মেন্টস শিল্পের পরেই এই শিল্প থেকে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ট্যুরিজম সেক্টর থেকে যা আয় হয় তার শতভাগই বাংলাদেশে থেকে যায়। কিন্তু, অন্য খাত থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগই আবার বিদেশেই চলে যায়।
ট্যুরিজম সেক্টরে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা সম্পর্কে মেনন বলেন, ট্যুরিজম সেক্টরের উন্নয়নে সংবাদকর্মীরা বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। ট্যুরিজম নিয়ে প্রথমে অনেক নেগেটিভ নিউজ হতো। এটির অবশ্য ক্ষেত্রও ছিল। আমাদের অবকাঠামো তেমন ভালো ছিলো না। কুয়াকাটা যেতে ৪টি ফেরি পার হতে হতো। কক্সবাজার যেতে অনেক সময় লাগতো। তাই স্বাভাবিকভাবেই নেগেটিভ নিউজ হতো। তবে এখন আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি।