সেবা ডেস্ক: শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মজিবুল হক বলেছেন, সরকার গৃহীত নানামুখী পদক্ষেপের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকরা এখন মর্যাদার সঙ্গে জীবন-যাপন করছেন। ফলে তাদের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। তিনি বলেন, আগে গার্মেন্টসে কাজ করলে মহিলা শ্রমিকদের ভিন্ন দৃষ্টি নিয়ে মানুষ তাকাতো। কিন্তু সরকার এখন তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর ফলে আর আগের অবস্থা নেই। তাদের সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান অনেকাংশে বেড়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নারী উদ্যোগ কেন্দ্র আয়োজিত ‘পোশাক শিল্প ও শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি তাহিয়া খলিলের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসরাফিল আলম এমপি, বিআইডিএস এর সাবেক সিনিয়র গবেষক ড. প্রতিমা পাল মজুমদার, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাসিমা হোসেন, কানাডিয়ান হাইকমিশনের পরামর্শক সিলভিয়া ইসলাম, সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন শেফালী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের সামাজিক ক্ষমতায়ন হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বাড়ি ভাড়া বেড়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা ক্ষেত্রে তাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ব্যাপারে তাদের আবাসন সমস্যার সমাধানসহ অন্যান্য সুবিধাদির ব্যাপারে মালিকদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে হবে।
ট্রেড ইউনিয়নগুলোতে নারী নেতৃত্ব বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়নগুলোতে নারী নেতৃত্ব তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। অথচ গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন সেক্টরে নারী শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। নারীদের কথা নারীদেরকেই বলতে হবে। তাই সরকারসহ বিভিন্ন ফোরামে কথা বলার জন্য নারী নেতৃত্ব বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
চাকুরি থেকে অবসরে গিয়ে নিরাপদ জীবন-যাপনের জন্য শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জানুয়ারি থেকে প্রতি বছর ১ লাখ শ্রমিককে প্রভিডেন্ট ফান্ডের আওতায় আনা হচ্ছে। এই ফান্ডে শ্রমিকরা মাসে ২শ’ টাকা করে জমা দেবে এবং সরকারও এই ফান্ডে সমপরিমাণ অর্থ দেবে। যদি কোন শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে তাহলে ২ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে ৩ লাখ টাকা দেয়া হবে।