সেবা ডেস্ক: ৭০ বছর বয়সী মাকে মারধোর করার অভিযোগ উঠেছে ভারতের দিল্লির এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সত্তরোর্ধ্ব ওই নারীর চোখে মুখে নির্দয়ভাবে নির্যাতনের চিহ্ন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে থাকা ওই নারীর মুখ কম্বলে ঢাকা। তখন একজন তার কম্বল সরালে দেখা যায়, তার চোখে মুখে মারধোরের আঘাতের চিহ্ন এবং ব্লাউজে জমাটবাধা রক্ত। রাজিন্দারি দেবী নামের ওই নারীর নাক দিয়ে রক্ত পড়ছিল এবং তার পরা সাদা শাড়িটিও ছিল রক্তমাখা।
ভিডিওটি প্রথম আপলোড করেন দিল্লিভিত্তিক মানবাধিকার কর্মী কুন্দন শ্রীবাস্তব। এক বন্ধুর কাছে এই খবর জানার পরে তদন্ত করে তিনি জানতে পারেন খোদ সন্তান নন্দকিশোরই তার মাকে এমন নির্দয়ভাবে মারধোর করেছে।
ফেসবুকে দেয়া পোস্টে শ্রীবাস্তব বলেন, দিল্লির বাসিন্দা রাজিন্দার দেবীকে গত ২৪ নভেম্বর তার সন্তান নন্দকিশোর হত্যার উদ্দেশ্যে মারধোর করে। কিন্তু কোনোভাবে তিনি বেঁচে গেছেন। তার সন্তান তার ভাড়ার টাকাটা ছিনিয়ে নিত এবং নিয়মিত তাকে মারধোর করতো।
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করতে গেলে সেখানেও তাকে বাধা দেয়া হয়। শ্রীবাস্তব তার পোস্টে বলেন, আমি যখন তার আঘাতের চিহ্নগুলো দেখি তখনই আমি বুঝতে পারি এটা ছিল হত্যাচেষ্টা। কিন্তু পুলিশ ওই নারীকে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। এমনকি ওই নারীর পক্ষে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করতে গেলে তাদেরও হয়রানি করা জয়।
নির্যাতনের শিকার ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার সন্তান নন্দকিশোরকে শুক্রবার গ্রেফতার করে তিহার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এনডিটিভি।
